কৃষকের ধান খাদ্য গুদামে সরবরাহ করছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সরকারি খাদ্য গুদামে কৃষক সেজে ধান সরবরাহ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগী। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুজনকে জেল দিয়েছেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে বগুড়ার কাহালু উপজেলা খাদ্য গুদামে এ ঘটনা ঘটে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কাহালু সদর ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুদ্দোহা খান ও তার সহযোগী ধান ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন। জানা গেছে, কাহালু সদর খাদ্য গুদামে দুই হাজার দুইশ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। এজন্য লটারির মাধ্যমে দুই হাজার চারশ কৃষক নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার দুইশ কৃষকের কাছ থেকে এক টন করে ধান কেনা হবে এবং দুইশ জন কৃষক অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন। দুই হাজার দুইশ কৃষকের মধ্যে ধান সরবরাহ করতে কেউ ব্যর্থ হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে কৃষক ধান সরবরাহ করবেন। গতকাল বুধবার পর্যন্ত খাদ্য গুদামে ১৫৮ জন কৃষক ১৫৮ মেট্রিকটন ধান সরবরাহ করেছেন। বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দোহা ও তার সহযোগী ইসমাইল দুই টন ধান খাদ্য গুদামে নিয়ে যায় এবং লটারিতে নির্বাচিত দুইজন কৃষকের নামে ধান সরবরাহ করার চেষ্টা করেন। এ  সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ আল মালেক সংবাদ পেয়ে  দু’জনকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দোহা খানকে এক মাস এবং তার সহযোগী ইসমাইল হোসেনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ আল মালেক আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কৃষকরা যেন নির্ভয়ে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারে এজন্য অভিযান চালানো হয়েছে। সিন্ডিকেট করে কেউ ধান সরবরাহ করতে পারবে না।