খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সব সময় সরকার মাঠে থাকবে। সরকার যদি বাজারে থাকে তাহলে মিল মালিক, আড়তদার ও ফরিয়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কম দামে ধান কিনতে পারবে না।
মঙ্গলবার তিনি নিয়ামতপুর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি বাজারে কম দামে ধান কিনতে চায় তাহলে কৃষক সরাসরি সরকারকে ধান দিয়ে ন্যায্যমূল্য পাবে। বর্তমান আওয়ামী সরকার কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই সরকারি দামের চেয়ে কৃষক বাইরে ধান বিক্রি করে যদি লাভবান হয় তাহলে সরকারও খুশি থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারীয়া পেরেরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসাইন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম। সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীর আবদুল্লাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শফিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমী) নিলুফা সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, চন্দননগর ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি, ভাবিচা ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক, নিয়ামতপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম, হাজিনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, পাঁড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা, শ্রীমন্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বুল, ভাবিচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উৎপল কান্ত সরকার, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে খাদ্যমন্ত্রী চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৫৪০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ করেন। এর পর মন্ত্রী আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
সূত্রঃ যুগান্তর
