নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ১-৭ এপ্রিল রাজশাহী মহানগরীতে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ও ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পালন করবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এ উপলক্ষে রোববার সকালে নগরভবন জিআইজেড সভা কক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
তিনি বলেন, রাজশাহী মহানগরীকে হেলদি সিটি রূপে গড়ে তুলতে প্রতিটি শিশুকে সুস্থ ও সবলভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের। শিশুদের রোগমুক্ত রূপে গড়ে তুলতে তাঁদের স্বাস্থ্য সচেতনভাবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য অভিভাবকসহ শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
এ সময় একটি শিশুও যেন কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হবার পরামর্শ দেন। কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এসে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর বিষয়ে শিশুদের সাহস দিয়ে এ বিষয়ে সকলকে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বিনামূল্যের এ ট্যাবলেটটির গুরুত্ব অপরিসীম। এ ট্যাবলেটটির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই। সেইসাথে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ঔষুধ সেবন ও বিক্রয় থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করেন মেয়র।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক স্বাস্থ্য কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা: গোপেন্দ্রনাথ আচার্য, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন রাজশাহী ডা: মোহা. এনামুল হক, সমাজসেবা রাজশাহীর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুল কবীর, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বোয়ালিয়া রাজশাহীর মোঃ জাহিদ হাসান।
সভায় স্বাগত বক্তব্য ও এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: এফ.এ.এম আঞ্জুমান আরা বেগম।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তেরখাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লিয়াকত কাদির, দড়িখরবোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আঞ্জুমান আরা, পিএইচটি সেন্টারের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ, তিলোত্তমা রাজশাহীর প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবজালুর রশীদ পলাশ।
সভায় রাসিকের ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সোহরাব হোসেন শেখ, ১০নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ সুলতানা রাজিয়া, ৬নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মমতাজ মহল লাইলী, রাসিকের সচিব খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১-৭ এপ্রিল কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ৫-১৬ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী ও একই বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত, ঝরে পড়া, পথ শিশু, কর্মজীবি শিশুসহ সকল শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। মহানগরীর ৪শ ৩১টি বিদ্যালয়ের ১লাখ ৪৫১জন ছাত্র-ছাত্রীকে একটি করে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
১-৭ এপ্রিল সপ্তাহব্যাপী ৫-১৬ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী সকল শিশুকে বিদ্যালয়ে ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভরাপেটে একটি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
স/শ
