কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষ

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি হু  করে বাড়ায় উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও চররাজিবপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে বাঁধ ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। চারদিকে পানি ওঠায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

তৃণমূল ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশুর তীব্র খাদ্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিম্নবৃত্তরা একবেলা খেয়ে আরেক বেলা থাকছেন অনাহারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রহ্মপূত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছে।

ধরলা ও ব্রহ্মপূত্র নদে পানি বাড়ায় এই অববাহিকায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে পাঁচ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে চার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।

উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।

অপরদিকে উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু জানান, উলিপুরে আটটি ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবিন্দ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরসহ তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে ২৮০ টন চাল ও ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দুর্গত এলাকায় বিতরণ শুরু হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক জানান, বন্যার ফলে জেলায় প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর রোপা আমন, শাকসবজি ও বীজতলা তলিয়ে গেছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর