কুলাউড়া জঙ্গি আস্তানায় আটক হলেন যারা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে স্থানীয় বাসিন্দারাও সতর্ক পাহারায় ভয়ার্ত চোখে নির্ঘুম রাত কাটান।

শনিবার (১২ আগস্ট) ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে সিটিটিআই বিভাগের একটি টিম ‘অপারেশন হিল সাইড’ পরিচালনা করে। অভিযানে কোন হতাহতের ঘটনা ছাড়াই চার জন পুরুষ জঙ্গি ও ছয় জন নারী জঙ্গিকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের তিন শিশুকে হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযানে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সার্বিক সহায়তা প্রদান করে। জঙ্গি আস্তানা থেকে তিন কেজি বিস্ফোরক, ৫০টি ডেটোনেটর, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, কমান্ডো বুটসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি, ছুরি-রামদাসহ অন্যান্য ধারালো অস্ত্র এবং নগদ তিন লাখ ৬১ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

আটকরা হলেন ১। শরীফুল ইসলাম (৪০), পিতা-ওমর আলী, মাতা-ছমিরুন, গ্রাম-দক্ষিণ নলতা, থানা ও জেলা-সাতক্ষীরা ২। হাফিজ উল্লাহ (২৫), পিতা-আবুল কাশেম, মাতা-জহুরা খাতুন, গ্রাম-কানলা, থানা-ইটনা, জেলা-কিশোরগঞ্জ ৩। খায়রুল ইসলাম (২২), পিতা-নজরুল ইসলাম, মাতা-সানোয়ারা বেগম, গ্রাম-রসুলপুর, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ ৪। রাফিউল ইসলাম (২২), পিতা-সাইফুল ইসলাম, মাতা-রেবা সুলতানা, গ্রাম-মাইজবাড়ী, থানা-কাজীপুর, জেলা-সিরাজগঞ্জ ৫। মেঘনা (১৭), স্বামী-খায়রুল ইসলাম, পিতা-মানিক মিয়া, মাতা-আলেয়া বেগম, গ্রাম-রসুলপুর, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ ৬। আবিদা (১২ মাস), পিতা-খায়রুল ইসলাম, মাতা-মেঘনা, গ্রাম-রসুলপুর, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ ৭। শাপলা বেগম (২২), পিতা-মজনু মল্লিক, স্বামী-আ. ছত্তার, মাতা-আলেয়া বেগম, গ্রাম-শ্রীপুর, থানা-আটঘরিয়া, জেলা-পাবনা ৮। জুবেদা (১৮ মাস), পিতা-আ. ছত্তার, মাতা-শাপলা বেগম, গ্রাম-শ্রীপুর, থানা-আটঘরিয়া, জেলা-পাবনা ৯। হুজাইফা (৬), পিতা-আঃ ছত্তার, মাতা-শাপলা বেগম, গ্রাম-শ্রীপুর, থানা-আটঘরিয়া, জেলা-পাবনা ১০। মাইশা ইসলাম (২০), পিতা-সাইদুল ইসলাম, স্বামী-সোহেল তানজীম রানা, গ্রাম-চাদপুর (পিতার বাড়ি), থানা ও জেলা-নাটোর ১১। মোছা. সানজিদা খাতুন (১৮), পিতা-আব্দুল জলিল, স্বামী-সুমন মিয়া, গ্রাম-নিজবলাই, থানা-শরিয়াকান্দি, জেলা-বগুড়া ১২। আমিনা বেগম (৪০), পিতা-জলমত খা, স্বামী-শফিকুল ইসলাম, গ্রাম-দক্ষিণ নলতা, থানা-তালা, জেলা-সাতক্ষীরা ১৩। মোছা. হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০),পিতা-শফিকুল,মাতা-আমিনা বেগম,গ্রাম-দক্ষিণ নলতা, থানা-তালা, জেলা-সাতক্ষীরা।

এলাকাবাসীরা জানান, আটকরা এখনকার স্থায়ী বাসিন্দা নয়। তারা গেল দুমাস আগে ওখানে প্রবাসী রফিক মিয়ার কাছ থেকে ৩০ শতাংশের ওপরে জায়গা ও তৈরি করা বাড়িসহ ক্রয় করেন। প্রথমে দুটি পরিবার এলেও পরে আরও দুই তিনটি পরিবার আসে।

ওই এলাকায় এরা নতুন আসায় তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়নি স্থানীয় বাসিন্দাদের এমনটি বলছেন তারা।

পরে এন্টি টেররিজমের বোম্ব ডিসপজেল ইউনিট বোমা ও ডেটোনেটর স্থানীয় আছকরাবাদ খেলার মাঠে ধ্বংস করে।