কুমুদিনী মেডিকেলের ৮৫ কাশ্মীরি ছাত্রীর বাড়ি ফেরার আর্তি

টাঙ্গাইলের কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ‘আটকা পড়া’ ৮৫ জন কাশ্মীরি ছাত্রী নিজেদের দেশে ফিরতে চেয়েও পারছেন না বলে দাবি করেছেন। তাদের অভিযোগ, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ঢাকা ত্যাগ করতে পারলেও তারা ‘টিকিট পাচ্ছেন না’।

বাংলাদেশে পড়তে আসা কাশ্মীরের এক ছাত্রী গত ১১ মে শ্রীনগরের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে ইমেইলে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। এরপর সোমবার কাশ্মীর অবজারভার এবং কাশ্মীর ওয়াচে খবরটি প্রকাশিত হয়।

ইমেইলে এক ছাত্রী এভাবে লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে আমাদের অসহায়ত্বের বিষয়টি অবগত করতে চাই। বাংলাদেশের  কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে আমরা পড়ে আছি। ঢাকা থেকে শ্রীনগরসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ফ্লাইট গেলেও ফেরার টিকিট দিতে আমাদের অবহেলা করা হচ্ছে।’

‘দয়া করে আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারের কাছে খবরটি পৌছাতে সাহায্য করবেন।’

‘আমরা সব মিলিয়ে এখানে ৮৫ জন মেয়ে ক্যাম্পাসের হোস্টেলে আছি। করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সবাই ফেরার অপেক্ষায়।’

২০০১ সালে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার নাতি রাজীব প্রসাদ সাহার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ। ঢাকা থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায়, লৌহজং নদীর পাশে কলেজটির অবস্থান।

কাশ্মীর অবজারভারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আটকে পড়া মেয়েদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা থাকলেও কয়েক ধাপের তালিকায় তাদের নাম দেখা যায়নি।

ছাত্রীরা বলছেন, ‘এখান থেকে শ্রীনগরে ৮, ১২ এবং ১৩ মে ফ্লাইট ছিল। কিন্তু তালিকায় আমাদের কারো নাম নেই।’

ভারতীয় কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে মেয়েরা অবহিত করলে বলা হয়েছে, ‘অপেক্ষা করুন।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর