কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গুলি, যুবক নিহত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কিউবায় চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সরকারি বাহিনীর গুলিতে দিউবিস লওরেন্থিয় তেহেরা (৩৬)  নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের সংকট, নাগরিক স্বাধীনতার সঙ্কোচন এবং মহামারি মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ লোকজন রোববার থেকে প্রতিবাদে নামে। খবর রয়টার্সের।

তারা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় টিকার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়।

দ্বীপ রাষ্ট্রটির সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার রাজধানী হাভানার শহরতলিতে দিউবিস লওরেন্থিয় তেহেরা নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হলো।

কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী— সরকারি স্থাপনায় হামলা চালানো একটি দলের অংশ ছিল নিহত যুবক।

অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ— দলটির সদস্যদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।

তেহেরার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সরকারিভাবে এখনও তার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এক বিবৃতিতে কিউবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তেহেরার মৃত্যুতে শুধু শোক জানিয়েছে।

এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।

কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লা গিনেরা এলাকায় স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে অংশ নেওয়া লোকজনের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীই চড়াও হয়েছিল।

এলাকাটির বাসিন্দা ওয়ালদো এরেরা রয়টার্সকে বলেছেন— কর্মকর্তারা তাদের অস্ত্র দিয়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি করা শুরু করে।

কিউবাজুড়ে নজিরবিহীন এ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ রোববার থেকে শুরু হয়। হাভানার দক্ষিণ-পশ্চিমে সান আন্তোনিও দে লোস বানোস শহরে সরকারবিরোধী একটি বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর দ্রুতই তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু কিউবায় এ ধরনের অনুমতিবিহীন জনসমাবেশ বেআইনি। বিক্ষোভকারীদের ‘প্রতিবিপ্লবী’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ কানেল।

দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান কানেল এই অস্থিরতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। এ প্রতিবাদের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন ও প্ররোচনা কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করে রাখা ও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও কঠোর করা বাণিজ্যিক অবরোধকে দায়ী করেছেন তিনি।

সাবেক মিত্র সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে কিউবা, এর মধ্যেই সেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটেছে।