কাল রাজশাহী আসছেন প্রধানমন্ত্রী: উন্নয়ন ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন জনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামীকাল ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী আসছেন। এদিন তিনি রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন। পাশাপাশি রাজশাহীর ২৯ট উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন। তবে রাজশাহীর কাঙ্খিত উন্নয়নের জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের বড় প্রকল্প গ্রহণের দিকে তাকিয়ে আছেন এখানকার আপামর জনসাধারণ।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী সেজেছে নানা সাজে। জনসভাস্থল মাদ্রাসা মাঠ থেকে শুরু করে রাজশাহীর সকল রাস্তা, বিভিন্ন মোড়, গুরুত্বপূরণ স্থান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে সরকারের উন্নয়মূলক প্রচার-প্রচারণা সংবলিত ব্যানার, তোরণ, ফেস্টুন, বিলবোরডসহ বিভিন্ন প্রচারণায় ভরে গেছে। নগরীর রাস্তাগুলোও করা হচ্ছে চাকচিক্য। ভাঙা-চোরা স্থানগুলো মেরামত প্রায় শেষের দিকে। এক কথায় রাজশাহীকে একটি সুন্দর নগরীর হিসেবে তুলে ধরতেও চলছে নানা চেষ্টা।

প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকালে রাজশাহী আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৯টি উন্নয়নকাজের জন্য দাবি জানানো হবে। অপরদিকে রাজশাহীর বিভিন্ন দাবি আদায়ের সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করবে।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও শিল্পকারখানায় গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করণ, নগরীতে আবেদনকারীদের বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংযোগ স্থাপন, গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ প্রকল্প পূন: বিবেচনায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন, উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন, আরো একটি সিএনজি স্টেশন স্থাপন অন্যতম।

এছাড়া রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালু করন, আব্দুলপুর-রাজশাহী-রহনপুর ডুয়েল গেজ রেল লাইন নির্মাণ, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, ভুখন্ড রক্ষায় স্থায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প গ্রহণ, কৃষিভিত্তিক ইপিজেড প্রতিষ্ঠা, পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, নগরীর একাধিক মাধ্যমিক স্কুল সরকারি করন, ক্রিকেট টেষ্ট ভেন্যু স্থাপন, পদ্মা নদীর চরে সরকারি ভাবে অর্থনৈতিক জোন স্থাপন, পদ্মানদীর রাজশাহী-চাঁপাই ও চারঘাট-বাঘা ড্রেজিং প্রকল্প গ্রহণ করে নদীপথে পন্য সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করণ, আম, টমেটোসহ অন্যান্য ফল সংরক্ষণে কোল্ড ষ্টোরেজ স্থাপন এবং নারী শিল্পোদ্যোক্তাদের বিশেষ ঋণ সহায়তার দাবি করবেন রাজশাহী রক্ষা সংড়গ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান রাজশাহীর উন্নয়নে এসব বিষষ বাস্তবায়নের দাবি করে বলেন, রাজশাহী জেলার দক্ষিন-পূর্ব পাশ ঘেষে পদ্মানদী প্রায় ৭০ কিমি দৈর্ঘ্যে বিস্তৃত। কৃষিভিত্তিক উত্তরাঞ্চলের মানুষ পানির বড়ই কষ্টে আছে। ভূ-উপরিস্থিত পানির ব্যবহার ছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি বিপ্লব ও এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। অতিমাত্রায় ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে ভূমিধ্বস ও জলবায়ূ বিরূপ প্রভাবসহ পরিবেশ মারাত্মক ভাবে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। ফলে এর মাশুল দিতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।

স/আর