সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
তিহার জেলে ইনসুলিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার সে আবেদন সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। পাশাপাশি খারিজ করা হয়েছে কেজরির ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে প্রতিদিন ভিডিও কলে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শের আবেদনও।
‘ডায়াবেটিসের রোগী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন না দিয়ে খুনের চেষ্টা চলছে’, এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল আম আদমি পার্টি। পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটের সভা থেকে এই ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা বলেছিলেন, ‘তিনি একজন ডায়াবেটিসের রোগী। ১২ বছর ধরে ইনসুলিন নেন। কিন্তু জেলে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না। ওরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে মেরে ফেলতে চায়।’
টালমাটাল এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার কেজরিওয়ালের ইনসুলিনের আবেদন খারিজ করে আদালতের পক্ষ থেকে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে, জেলের মধ্যেই পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক কেজরিওয়ালের জন্য। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে ভিডিও কলে পরামর্শের আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, যদি বিশেষ পরামর্শের প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে তিহার কর্তৃপক্ষ যেন এইমস-এর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ নেয়। এইমস-এর চিকিৎসকদের এই বিষয়ে একটি বোর্ড গঠনেরও নির্দেশ দেন আদালত।
কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ করে আদালতের নির্দেশ, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চিকিৎসার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এইমসের মেডিকেল বোর্ড তার ডায়েট ও ব্যায়ামের তালিকা দেবে। যখন প্রয়োজন পড়বে মেডিকেল বোর্ড জেলে গিয়ে কেজরিওয়ালের চিকিৎসা করবেন। যত দ্রুত সম্ভব তাকে পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্টও দিতে হবে বোর্ডকে। ইনসুলিনের প্রয়োজন রয়েছে কি না সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন এইমসের চিকিৎসকরা।
এছাড়াও আদালতের নির্দেশ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির রান্না করা খাবার খেতে পারবেন, তবে সেটা ডায়েট চার্ট মেনে। যদি কোনোভাবে বাড়ির খাবারে ডায়েট চার্ট না মানা হয় সেক্ষেত্রে জেল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে আদালতকে বিষয়টি জানাবে এবং ১৫ দিন অন্তর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষকে।
