‘কান্না হবে না, আন্দোলন হবে’

রংপুরের একমাত্র ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শ্যামপুর সুগার মিলের লোকসান দেখিয়ে বন্ধ করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে আখ চাষি ও শ্রমিক নেতারা। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ওই প্রতিষ্ঠানকে গত কয়েক বছর ধরে লোকসান দেখানো হয়। এ কারণে চিনিকলটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে একজোট হয়ে উঠে শ্রমিক ও আখচাষি সংগঠনের নেতারা আজ শনিবার শ্যামপুর সুগারমিল ট্রেনিং কমপ্লেক্স চত্ত্বরে মতবিনিময় করা হয়। সেখানে জড়ো হন সাধারণ আখ চাষিরাও।

শ্রমিক ও আখচাষিদের সুত্রে জানা যায়, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার একমাত্র ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শ্যামপুর সুগার মিল ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি সুগার মিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার অজুহাতে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে সুগারমিল রক্ষা করতে আখ চাষি, কর্মচারি ও শ্রমিকরা একজোট হয়।

মতবিনিময় সভায় সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করে ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের এমপি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। এ ছাড়াও শ্যামপুর চিনিকল অ্যামপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইট, ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, কৃষক নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, ইউপি চেয়ারম্যান আজিজার রহমান, আলতাফ হোসেন, রফিকুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, অ্যামপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বুলু আমীন ও ছাত্র নেতা রাফিউর রহমান রাফি প্রমূখ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্যামপুর সুগারমিল বন্ধ হলে রংপুর অঞ্চল অন্ধকার হয়ে পড়বে। বেকার হয়ে পড়বে শতশত শ্রমিক-কর্মচারি। সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে মিল বন্ধের যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে।

এ সময় নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আরো বলেন, কান্না হবে না, আন্দোলন হবে। প্রয়োজনে রেলপথ রাজপথ অচল করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ