কাতারের আমিরের সফরে ১০ চুক্তি-সমঝোতার প্রস্তুতি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কাতারের আমিরের সফরে ৪টি চুক্তি ও ৬টি সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যে ৪টি চুক্তির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—বন্দি বিনিময়, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও শুল্ক সুবিধা দেওয়ার জন্য সহযোগিতা।৬টি সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো—কাতারে জনশক্তি রপ্তানি, বন্দর ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা, ধর্মীয় সহযোগিতা, উভয় দেশের   কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা সহযোগিতা।

বন্দি বিনিময় চুক্তি
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও থাইল্যান্ডের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। এবার তৃতীয় দেশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির ফলে দুই দেশ সাজাপ্রাপ্ত বন্দি আসামিকে হস্তান্তর করতে পারে। কাতারের প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। চুক্তির পর তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে বাংলাদেশ।

জনশক্তি রপ্তানিতে প্রাধান্য
মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি কর্মীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য কাতার। দেশটিতে প্রায় ৩ লাখ কর্মী রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে কীভাবে আরও জনশক্তি কাতারে পাঠানো যায়, দেশটির আমিরের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। কাতারের আমিরের সফরকালে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আমিরের নামে পার্ক-সড়ক
কাতারের আমিরের নামে ঢাকা সিটি করপোরেশনের একটি পার্ক ও উড়াল সেতুর নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার নামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশীর বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হবে।

মধ্যপ্রাচ্য সংকট
কাতারের আমির যখন বাংলাদেশে আসছেন, ঠিক তখনই ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। কাতারের আমিরের সফরে ফিলিস্তিন ইস্যু ও ইরান-ইসরায়েল সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ বরাবরই ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কাতারের কাছে তুলে ধর হবে।

দুই দেশের সম্পর্কে অবদান
কাতারের আমিরের ঢাকা সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা করেছেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে, তা আরও শক্তিশালী হবে। এই সফর সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে।

২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন। প্রায় বিশ বছর পর বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশে আসছেন।