কাটাখালিতে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে জনতার রোষানলে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো সময় চার পুলিশ ও দুই সোর্সকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালীর বেলঘরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে কাটাখালী ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ সময় আটককৃত শিক্ষার্থী কবিরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

স্বজনরা জানায়, বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে পুলিশের সোর্স রকি ও মনির বেলঘরিয়া এলাকার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে কবির হোসাইন (২৪) মুঠোফোনে কথা আছে বলে ফোন দেয়। কবিরকে বাড়ির বাইরের রাস্তায় আসতে বলে। এ সময় বেলঘরিয়া ব্রিজের পাশে সাদা পোশাকে থাকা কাাঁটাখালী ফাঁড়ী ইনচার্জ এসআই আসাদ, এএসআই জাহিদসহ চার পুলিশ কবিরের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে দেয়।

এসময় পুলিশের সোর্স রকি কবিরের প্যান্টের পকেটে ৫০ পিস ইয়াবার একটি প্যাকেট ঢুকিয়ে দেয়। এতে কবিরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। ওই সময় স্থানীয় কয়েকজন নারীসহ প্রায় ১৫/২০জন সাধারণ জনতা এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করে। পরে হৈচৈ শুনে এলাকার দুইশতাধীক লোকজন সেখানে জড়ো হয়।

একপর্যায়ে তারা কাটাখালি ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আসাদসহ চারজনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তারা ‘জাবেদ টি স্টলে’ আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে কাটাখালী ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ সময় তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কবিরকে ছেড়ে দেয়।

পুলিশ চলে যাওয়ার পরে দুই শতাধীক বিক্ষুদ্ধ জনতা মিছিল নিয়ে গিয়ে পুলিশের সোর্স জার্জিসের পিতা মুনিরের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়।

স্থানীয়রা জানায় ঘটনস্থালে কাটাখালী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জাহিদ ছিলেন। কিন্তু জাহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি বাজারে ছিলেন। পরে শুনছেন বেলঘরিয়া এলাকায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। তিনি ফাঁড়িয়ে গিয়ে শুনে জানাতে চেয়েছেন।

কাটাখালির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহদী হাসান বলেন, তিনি ছুটিতে বাড়ি আছেন। ওসি তদন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে ওসি তদন্ত রাশেদ মুঠোফোনে জানায়, এ বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

স/আর