কাজেই লাগলো না সাকিবদের লড়াই, শেষ মুহূর্তে হার টাইগারদের

সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম আর লিটন দাসের লড়াই শেষ পর্যন্ত কোনো কাজেই লাগলো না। ব্যবধানটাই যা কমিয়েছে। ৮ রান দূরে থাকতেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। টাইগাররা হেরে গেছে ১ ইনিংস ও ৮ রানের ব্যবধানে।

আর মাত্র ২৪ মিনিট টিকতে পারলেই ম্যাচটা বাঁচিয়ে দিতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু সাজিদ খানের বলে সাকিব আল হাসান আউট হয়ে যেতেই সব প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে। ৬৩ রান করে আউট হন সাকিব।

১৪ রান করে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপরের ব্যাটাররা শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের সামনে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে পারেননি কেউ।

বৃষ্টির কারণে টেস্টের অর্ধেকের বেশি সময় খেলা হয়নি। প্রথম দিন ৩৩ ওভারের খেলা হয়নি, দ্বিতীয় হয়েছে মাত্র ৩৮ বল। তৃতীয় দিন পুরোটাই চলে যায় বৃষ্টির পেটে। চতুর্থ দিনও খেলা শুরু করতে বিলম্ব হয়। পুরোপুরি খেলা হলো কেবল পঞ্চম দিনে।

চোখ বন্ধ করেই এই ম্যাচটি ড্র করা যেতো। কিন্তু এমন ম্যাচটাতেই কি না ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় বরণ করতে হলো বাংলাদেশকে! তাও শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত লড়াই করার পর! মুশফিক, লিটন আর সাকিবের লড়াই আর কিছুক্ষণ লম্বা হলেই নিশ্চিত ম্যাচটি বাঁচিয়ে ফেলতে পারতো বাংলাদেশ।

অথচ, শেষ ২৪ মিনিট কিংবা অন্তত ৫-৬ ওভারও যদি টেনে নিয়ে যেতে পারতো টাইগাররা! পাকিস্তানের করা ৩০০ রান পার করতে পারতো বাংলাদেশ! ম্যাচটা বেঁচে যেতো। কিন্তু সে কাজটুকুও শেষের ব্যাটাররা করতে পারেননি। অকাতরে উইকেট দিয়ে এসেছেন।

আজ শেষ দিনে বাংলাদেশের পড়েছে মোট ১৩ উইকেট। টেস্টের শেষ দিনে এক দলের এতগুলো উইকেটের পতন এই প্রথম। কৃতিত্বটা লেখা হলো পাকিস্তানের নামে আর ব্যর্থতাটা লেখা হলো বাংলাদেশের নামে।

চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে যেভাবে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, তাতেই পরাজয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ৭ উইকেটে ৭৬ রানে দিন শেষ করে তারা। সাকিব আল হাসান উইকেটে ছিলেন ২৩ রান নিয়ে। তাইজুল ছিলেন শূন্য রানে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ