কাঁথা-কম্বল চিড়া-মুড়ি-গুড়সহ ৩ দিন আগেই রংপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিভাগীয় নগরী রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশ শনিবার। এ সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীরা নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি।

এ পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষজনের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। অনেকেই এতে ভোগান্তিতে পড়বেন। এরই মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীসহ মানুষজন রংপুরের গণসমাবেশে আগাম হাজির হচ্ছেন। কেউ কেউ চিড়া-মুড়ি-গুড়সহ সঙ্গে এনেছেন কাঁথা-কম্বলও।

বৃহস্পতিবার অনেকেই নগরীর আবাসিক হোটেল, ছাত্রাবাস, স্বজন-পরিজন ছাড়াও নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান নিচ্ছেন। শুক্রবারের মধ্যেই সমাবেশের ৪০ ভাগ লোক রংপুরে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

তবে পুলিশ নেতাকর্মীদের এখনো গ্রেফতার না করলেও ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির আশঙ্কা করছেন দলের নেতারা। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, নেতাকর্মীরা শুকনা খাবার চিড়া-গুড়, পানি ও কাঁথা-বালিশ নিয়ে শুক্রবার দুপুরের মধ্যে সমাবেশে অবস্থান নেবেন। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত।

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রাম থেকে সমাবেশস্থলে এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান (৪৬) ও রহিদুল ইসলাম (৪০)। তারা বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় ট্রেনে করে পাটগ্রাম থেকে রংপুর স্টেশনে এসে পৌঁছান তারা। স্টেশনে চিড়া-মুড়ি খেয়ে রাতযাপনের পর বৃহস্পতিবার সকালে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। সঙ্গে কম্বলও এনেছেন। ২৯ অক্টোবর সমাবেশ শেষে বাড়ি ফিরবেন।

শুধু মোস্তাফিজুর ও রহিদুল নয়, তাদের মতো গাইবান্ধার সাঘাটার ঘুড়িদহ থেকে এসেছেন আরিফুল ইসলাম, রাজারহাটের সাদ্দাম হোসেন ও গোবিন্দগঞ্জ মহিমাগঞ্জের জাহিদুল ইসলামসহ অনেকেই।

তাদের দাবি, যদি গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ থাকে, পথে বাধা দেওয়া হয়, মারামারি হয়- তাহলে তো আসতে পারব না। এজন্য আগেই আসা। সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি রংপুরেই অবস্থান করবেন। তাদের মতো আরও অনেকেই শুক্রবার আসবেন।

রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সাংবাদিকদের জানান, রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে একটি পরিচ্ছন্ন সমাবেশ। স্বরণকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আমরা নিশ্চিত করেছি, শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, তৃণমূল, নগর, শহর এবং বন্দরের সাধারণ মানুষও এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সমাবেশ স্থল ছাপিয়ে মানুষের স্রোতে রংপুর মহানগরীর প্রধান সড়ক, বিভিন্ন মাঠসহ অলিগলিতে ভরে যাবে বলে তিনি দাবি করেন। সূত্র: যুগান্তর