কষ্টটা মনে রাখবেন মুশফিক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

• হার থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন মুশফিক
• ফাইনালের হারে কাউকে আলাদাভাবে দুষছেন না
• টি-টোয়েন্টিতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, মুশফিকের অভিমত

সৌম্য সরকার অফ স্টাম্পের একটু বাইরের দিকে ফেলেছিলেন ইয়র্কার লেংথের বলটি। পরিকল্পনাটা ছিল, দিনেশ কার্তিক যত জোরেই মারেন, ছক্কা যেন না হয়। কার্তিকের ফ্ল্যাট শটটি পরিকল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে আছড়ে পড়ল সীমানার ওপারে। ম্যাচ শেষ। জয়ের সুবাস পেয়েও বাংলাদেশের হার। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দৈহিক ভাষায় বলছিল, কতটা বিধ্বস্ত তাঁরা। আজ দেশে ফিরেই মুশফিকুর রহিম জানালেন, এই কষ্টটা এত সহজে ভুলে যাওয়ার মতো নয়, ‘এই কষ্টটা আমরা মনে রাখব।’

মুশফিককে পোড়াচ্ছে প্রতিপক্ষ ভারত বলেই। ভারতের মতো দুর্দান্ত একটি দলকে হারানোর সুযোগ যে প্রতিদিন আসে না, সেটা খুব ভালো করেই বোঝেন নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান, ‘আমাদের সুযোগ ছিল, এই সুযোগটা আমরা হাতছাড়া করেছি। ভারতকে হারানোর সুযোগ বারবার আসে না। শেষ দুটি সুযোগ হারালাম। ইনশা আল্লাহ, কষ্টটা মনে রাখব। এখান থেকে আমরা যেন আরও সামনে এগিয়ে যেতে পারি।’

এমন হারে ভাগ্যকেই দুষছেন মুশফিক। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের স্নায়ু ধরে রাখার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি, ‘খুবই খারাপ লাগছে এই হারে। এত কাছে এসেও ট্রফিটা জিততে পারলাম না। এরপর এমন পরিস্থিতিতে স্নায়ু শক্ত রাখতে হবে, যেন কঠিন পরিস্থিতি উতরে যেতে পারি।’

রুবেলের ১৯তম ওভারে দিনেশ কার্তিকের ২২ রান তুলে ফেলা কিংবা সৌম্যর শেষ ওভার—এই হারের আলাদা কোনো কারণ খুঁজতে চান না বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। তিনি এটি দেখেন সবার ব্যর্থতা হিসেবেই, ‘এটা দলীয় খেলা। একজনের ব্যর্থতা মানেই সবার ব্যর্থতা। বোলাররা সবাই মিলে যদি ১ কিংবা ২ রান কম দিত। ব্যাটসম্যানরাই যদি আরও ১০টা রান করে আসত! এই ম্যাচ থেকে আমাদের শিক্ষা ছাড়া আর কিছুই নেওয়ার নেই।’

নিদাহাস ট্রফির প্রাপ্তি আছে মুশফিকের কাছে, ‘আমরা ওয়ানডেতে ভালো দল, টেস্টে আমরা ভালো করা শুরু করেছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা ভালো খেলতে পারছিলাম না। নিদাহাস ট্রফির মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’

প্রথম আলো