সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ঢাকার কল্যাণপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গীদের মধ্যে তাদের কোন ছেলে আছে কিনা, তিনটি পরিবার তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
পুলিশের সূত্রগুলো বিবিসিকে জানিয়েছে, পত্রিকায় এবং টেলিভিশনে লাশের ছবি দেখার পর এ পর্যন্ত তিনটি পরিবারের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ হয়েছে। এই তিন পরিবারের সন্দেহ, তাদের নিখোঁজ ছেলেরা হয়তো কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গীদের মধ্যে থাকতে পারে।
যে তিন জনের নাম নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে জল্পনা চলছে তারা হচ্ছে ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র ছাত্র সেজাদ রউফ অর্ক, নোয়াখালি সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জোবায়ের হাসান এবং চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাব্বিরুল হক কনিক।
সাব্বিরুল হক কনিকের বাবা চট্টগ্রামের আনোয়ারার একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানান, আজিজুল হক ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং একটি লাশের ছবির সঙ্গে তার ছেলের চেহারার মিল আছে বলে সন্দেহ করছেন। তবে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত নন।
“তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। উনি ছবির সঙ্গে তার ছেলের চেহারার কিছু মিল দেখতে পাচ্ছেন। তাকে আমরা লাশের আরও ছবি দেখিয়েছি। কারণ পত্রিকায় ছাপা ছবির প্রিন্ট ছোট, তাই বোঝা যায় না। কনিকের বাবা বলেছেন, তিনি এখনো নিশ্চিত নন যে এটি তার ছেলে। কারণ চোখ, চুল এবং আরও কিছু বিষয়ে অমিল দেখছেন তিনি।”
পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানান, লাশ সরাসরি দেখতে ঢাকায় যাচ্ছেন আজিজুল হক।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি থেকে এক দাওয়াতে যাওয়ার কথা বলে পাঁচশো টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলেন সাব্বিরুল হক কনিক। তার পর থেকে নিখোঁজ আছেন তিনি।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সেজাদ রউফ অর্কের বাবা তৌহিদ রউফ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন লাশ সনাক্ত করতে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে জানান, সেজাদ রউফ অর্ক একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক। তার বাবা সন্দেহ করছেন, নিহতদের একজনের সঙ্গে তার ছেলের চেহারার মিল আছে।
“মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে তৌহিদ রউফ মর্গে এসেছিলেন। আমরা তাদেরকে লাশগুলো দেখিয়েছি সনাক্ত করার জন্য। এর মধ্যে একটি লাশকে তারা তাদের ছেলে হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন। তবে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত নন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা তাদের ডিএনএ টেস্ট করাতে বলেছি।”
সূত্র: বিবিসি বাংলা