করোনা সংকটের প্রথম ধাপে বাগমারায় ৭২ টন সরকারী ত্রাণ বিতরণ

বাগমারা প্রতিনিধি:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসে আক্রমনের শিকার হয় বাংলাদেশ। এই মহামারি বিপদের হাত থেকে রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে বাজার-ঘাট, দোকানপাট সহ বিভিন্ন স্থানে লোক সমাগমের জারিকরা হয় নিষেধাজ্ঞা। সেই সাথে করোনা সংকট মোকাবেলা করতে গিয়ে যে সকল ব্যক্তি বা পরিবার খাদ্য সমস্যায় পড়বেন তাদেরকে সরকারী ভাবে ত্রাণ প্রদানের ঘোষণা দেন সরকার।

এদিকে করোনা সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাগমারায় বরাদ্দ দেয়া হয় ৭২ টন চাউল। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভায় বিতরণ করা হয় ত্রাণের সেই চাউল।

প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৪০০ জন করে গরীব, দুস্থ, অসহায়, ভ্যান চালক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে সরকারী ত্রাণের সেই চাউল বিতরণ করা হয়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী প্রথম ধাপে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের চাউল বিতরণ শেষে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের নিকটে আবারও এসেছে দ্বিতীয় ধাপে ৩৬ টন চাউল।
সরকারী নির্দেশনায় তালিকা প্রণয়ন করে সুষ্ঠু ভাবে চলছে বিতরণ কাজ। সরকারের পাশাপাশি অনেকেই করোনা সংকট মোকাবেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করছেন।

সরকারী এসব ত্রাণের চাউল উপজেলা কয়েকটি স্থানে বিতরণের উদ্বোধন করেন, বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। অন্য ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় জনপ্রতিনিধিরাই বিতরণ করেছেন। সেই সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা শরিফ আহম্মেদ ব্যক্তিগত ভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে হত দরিদ্র, ভ্যান চালক সহ গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা প্রদান করছেন।

প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকার যখন যে নির্দেশনা প্রদান করছেন তা সঠিক ভাবে পালন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে উপজেলার হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ জনসমাগম ঘটে এমন জায়গা বন্ধ করা হয়েছে। সরকারী নিষেধ অমান্য করে কেউ অপ্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে ঘোরাঘুরি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা নেয়া হচ্ছে। সরকারী নির্দেশনা পালন করা সকলের দায়িত্ব বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, করোনা ভাইরাস বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট বড় হুমকী। এর কারণ এদেশে জনসংখ্যার পরিমান অধিক। তাই সকারের পক্ষ থেকে দোকানপাট সহ লোকসমাগম ঘটে এমন সব কিছু বন্ধ করা হয়েছে। করোনা সংকটে কেউ যে খাদ্য সমস্যায় না পড়ে সেই জন্য সরকারী ভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এই মহামারি সংকট মোকাবেলায় দেশবাসীর জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে সরকার। বাগমারায় এরই মধ্যে ৭২ টন সরকারী ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরো ৩৬ টন এসেছে সেটাও বিতরণ করা হবে। বাগমারাবাসীকে সরকারী সকল প্রকার নির্দেশনা নেমে চলার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

স/অ