করোনা শনাক্তে ল্যাবরেটরির সংখ্যা বেড়ে ১৮০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরির সংখ্যা বেড়ে ১৮০টিতে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ ১৬৭টি ল্যাবরেটরির সঙ্গে নতুন আরও ১৩টি যুক্ত হলো।

সর্বমোট ১৮০টি ল্যাবরেটরির মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ৫১টি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৬৩টি আরটিপিসিআরসহ মোট ১১৪টি, সরকারি পর্যায়ে জিনএক্সপার্ট মেশিন ২৪টি ও বেসরকারি পর্যায়ে দুইটিসহ মোট ২৬টি এবং সরকারি পর্যায়ে ৪০টি অ্যান্টিজেন পরীক্ষাগারে রয়েছে।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকার।

বুধবার পর্যন্ত মোট মৃত্যু সাত হাজার ৫৩১ জনের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৭৩৩ (৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৭৯৮ জন(২৩ দশমিক শূন্য ৮৭ শতাংশ)।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮০টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৪০৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ২২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪টি।

এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হন আরও এক হাজার ২৩৫ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জনে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫০৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হন চার লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৮ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন