করোনা মোকাবেলায় যুক্তরাজ্যের নতুন পরিকল্পনা

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় নতুন পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্য।

আসন্ন শীতে করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় আঘাত মোকাবেলায় ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রস্তুত করতে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি পাউন্ডের বাজেট বরাদ্দ করা হবে এনএইচএস (জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ)-এর জন্য।

অক্টোবরের শেষার্ধ থেকে প্রতিদিন পাঁচ লাখ করোনা টেস্টের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন জনসন।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে আমরা ভালো ও সুখবরের আশা করছি। কিন্তু যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরিকল্পনা নিচ্ছি।

শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে তিন মাস লকডাউনে থাকায় গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই যুক্তরাজ্যের জনজীবন আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ডিসেম্বরের আগেই স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন বরিস।
এই পরিকল্পনার আওতায় আগামী ২৫ জুলাই থেকে ইনডোর জিম, পুলসহ অন্যান্য খেলাধুলা পুনরায় শুরুর ঘোষণা দেন। অক্টোবর থেকে ক্রীড়ামোদিরা স্টেডিয়ামে যেতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ভাষণে সাবধানতা মেনে বাস, ট্রেনসহ গণপরিবহন ব্যবহার ও কর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

দেশটির অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে কর্মজীবীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আসছে বড়দিনের আগেই ব্রিটেনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা ও ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করতে উদ্যোগ শুরু করেছে সরকার। সেই লক্ষ্যে লকডাউনও শিথিলের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।

বরিস জনসন বলেন, মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়া অর্থনীতির গতি ফেরানো সম্ভব না।

আগামী ১ আগস্ট থেকে কর্মীদের কাজে ফেরানোর ব্যাপারে নতুন দিকনির্দেশনা ঘোষণা দেবে সরকার। সেই ঘোষণা কর্মীদের কীভাবে কাজে ফেরানোর পরিবেশ নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনাও থাকবে।

জনসন আরও জানান, আগামী মাস থেকে ৩০ জনের বেশি মানুষের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেবে সরকার। সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল, নার্সারি ও কলেজ খুলবে।

এদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বরিসের সরকারের বিরুদ্ধে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা গণনায় বড় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর অন্য কোনো রোগে মারা গেলেও তা করোনার মৃত্যু হিসেবেই নথিভুক্ত করছে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিভাগ।