করোনা মহামারীতে করণীয়

১২ জুন অনুজপ্রতিম অধ্যাপক ডা. গাজী জহির ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে এ নশ্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকে চলে গেছে। সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ছিল।

৩০ মে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। ৪ জুন উপসর্গ তীব্র হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে ৫ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তির উদ্যোগ নিলাম।

ওর আইসিইউর প্রয়োজন ছিল; কিন্তু কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করায় ৫ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হল। ৫ জুন রাতে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হল। ১২ জুন প্রথম প্রহরে প্রাণবন্ত জহিরের নশ্বর দেহ সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেল। বড় করুণ সে মৃত্যু। যে প্রতিষ্ঠানে আজীবন রোগীর সেবা দিয়ে এসেছে; সেই প্রতিষ্ঠানে নিজে রোগী হিসেবে ঠাঁই পায়নি।

এ ছাড়া মরহুম কিবরিয়া স্যার করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচএ মারা গেলেন। শ্রদ্ধাভাজন রাজনীতিবিদ মো. নাসিম এমপি, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহসহ আরও কত মানুষ অকালে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন। মৃত্যুর এ মিছিল অনেক দীর্ঘ।

কতকাল আরও কত লাশের বোঝা বইতে হবে, বিধাতাই জানেন। বড় করুণ, বড় নির্মম এসব মৃত্যু।

এক অদৃশ্য শক্তি, প্রাণহীন অণুজীব চীনের উহান থেকে যার যাত্রা শুরু; সেখানকার বন্যপ্রাণীর বাজারের বাদুড় থেকে, আবার কারও মতে, উহানের ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়।

মানুষের নাক-মুখ বা চোখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে আক্রান্ত করে প্রথমে হালকা জ্বর, হাঁচি-কাশি, গা ম্যাজম্যাজ করা, শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। আবার কেউ থাকে উপসর্গহীন। অণুজীবটি মুকুটের মতো দেখতে; তাই এর নাম করোনাভাইরাস। আগে একই গোত্রের সার্স, যা ২০০৩-এ মহামারী আকারে এসেছিল।

সে জন্য করোনাকে সার্স কোভ-২ও বলা হয়। নতুন এসেছে বলে এর নাম নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯; গত বছরের শেষদিকে যার জন্ম। মুহূর্তের মধ্যেই দাবানলের মতো চীন থেকে যাত্রা শুরু করে ইউরোপের ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য হয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ল্যাটিন আমেরিকা, ব্রাজিল হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রতিদিন মৃত্যু আর আক্রান্তের হার বাড়ছে। ভাইরাসটি ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। ক্ষুদ্র অণুজীব অথচ ভয়ংকর।

সব মারণাস্ত্র এর কাছে নস্যি। এ বৈশ্বিক করোনা মহামারী (প্যানডেমিক), যা এর আগে মানুষ আর কখনও দেখেনি। প্লেগ, স্পানিশ ফ্লু, কলেরা, ইবোলা, এইডস, বার্ডফ্লু, নিপা ভাইরাস বিভিন্ন সময়ে আত্মপ্রকাশ করলেও নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীকে আক্রান্ত করেছে; কিন্তু করোনাভাইরাস দ্রুত সময়ে পৃথিবীর প্রায় সব এলাকাকে সংক্রমিত করেছে। একমাত্র নিউজিল্যান্ড ছাড়া আর কোনো দেশ এ ভাইরাসের অস্তিত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। কবে পারবে, তা শুধু বিধাতাই বলতে পারেন।

করোনা একটি আতঙ্কের নাম। রোগটি যতটা ছোঁয়াচে, ততটা ভয়ংকর নয়; কিন্তু এক ধরনের ভীতি আর আতঙ্কের কারণে রোগটি প্রত্যেক মানুষের মনে হতাশা তৈরি করেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১,৩০,৪৭৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১,৬৬১ জন মারা গেছেন। অণুজীবটি শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে সক্রিয় হয়।

যেসব কোষে ACE-2 এনজাইম থাকে, সেগুলোকে ভাইরাসটি আক্রমণ করে। বাইরের আস্তরণ খসে পড়ে এবং RNA সক্রিয় হয় ও বংশবৃদ্ধি করে নতুন নতুন কোষকে আক্রান্ত করে। ভাইরাসটি কোষের এনডোজমে অবস্থান নেয়।

ভাইরাসের খসে যাওয়া আস্তর মৃতকোষ আর গলিত অংশে ফুসফুসের এলাভিওলাই পরিপূর্ণ হয়ে ফুসফুস অকার্যকর করে দেয়। শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেন স্বল্পতা আর নিউমোনিয়া তীব্র হয়।

রক্ত জমাট বাঁধে এবং রক্তনালির দেয়ালে ছিদ্র প্রসারিত হয়ে রস বের হয়ে ফুসফুসের ফাপা অংশ পূর্ণ হয়ে ফুসফুসের প্রসারণ সংকুচিত করে। হৃদযন্ত্র অকার্যকর হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যায়।

এখন আসা যাক, করোনা রোগী কেন ভীতিকর। রেডিও, টিভি আর সংবাদপত্রের কল্যাণে রোগটি এত আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এ রোগে আক্রান্ত হলে পরিবার, সমাজ সবার কাছে সে অবহেলার পাত্র আর অচ্ছুত হয়ে যায়। কেউ তাকে দেখতে আসে না, ছুঁতে চায় না। সেবা ও চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করে। সে জন্য এ রোগে আক্রান্ত হলে এক ধরনের ভীতি রোগীকে কুরে কুরে খায়। রোগী সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে যায়। আসলে কি রোগটি ভীতিকর?

না, করোনা রোগে আক্রান্ত রোগীর শতকরা ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। শতকরা ৫ জনের আইসিইউ প্রয়োজন হয়। করোনা আক্রান্ত অনেকেরই উপসর্গ থাকে না। রোগটি শনাক্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করাতে হবে। মনোবল অটুট রাখতে হবে। আতঙ্ক বা ভয় নয়; সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে।

বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দরিদ্র দেশ। এখানকার মানুষের প্রয়োজনীয় শিক্ষা নেই, শৃঙ্খলা নেই, নিয়ম মানার প্রবণতা নেই। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই, সচেতনতা নেই, হাসপাতালের বিছানা নেই। মহামারী নিয়ন্ত্রণে যেভাবে আন্তরিকতা নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার, সেরূপ আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসার মতো চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেই। আগেই বলেছি, ভাইরাসটি নাক-কান ও চোখ দিয়ে প্রবেশ করে; এ জন্য হাত বারবার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

নাক-মুখে মাস্ক পরতে হবে, তা কাগজের বা কাপড়ের হলেই হল। চোখে চশমা পরতে হবে। হাত না ধুয়ে নাক, মুখ বা চোখ স্পর্শ করা যাবে না। যেখানে-সেখানে কফ-থুতু ফেলা যাবে না। ব্যবহৃত রুমাল বা টিস্যু ও মাস্ক ফেলা যাবে না। রুমাল বা টিস্যু না থাকলে কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিতে হবে। মাস্ক ছাড়া বের হওয়া যাবে না। উপরোক্ত ব্যবস্থা নিলেই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব। অহেতুক দামি ‘নভোচারী’ পোশাক, উচ্চমূল্যের মাস্ক, ক্যাপ, গগলস, গ্লাভস ব্যবহার রোগীর চিকিৎসার পূর্বশর্ত হতে পারে না।

মনে রাখতে হবে, চিকিৎসার নামে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা বা অর্থ খরচ করা যাবে না। সরকারের বিপুল বাজেট নষ্ট করে এ দুঃসময়েও অনেকেই ‘কারও ঘর পোড়া আর কারও তাতে আলু পোড়া দিয়ে খাওয়ার সুযোগ’ নেয়ার প্রবণতা দুঃখজনক।

কোভিড-১৯ ভাইরাসটি বেশি বেশি পরীক্ষা করে শনাক্ত করতে হবে। আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসার সুযোগ সম্প্রসারিত করতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ রোগীও যেন করোনার অজুহাতে চিকিৎসাবঞ্চিত না হয়, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ থাকতে হবে। জেলা হাসপাতালগুলোয় আইসিইউর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

বেসরকারি হাসপাতালেও কোভিড রোগীর চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা রাখতে হবে। চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। হাসপাতাল ও রোগীর চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্লিনিক, হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা কর্মীদের ওপর ভাংচুর-হামলার বিরুদ্ধে আইন করে শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

কোভিড-১৯-এর নিয়ন্ত্রণ ত্বরান্বিত করতে হলে আমাদের সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। সামাজিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক আর হাত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার পরিষ্কার করে রোগটি প্রতিরোধ করতে হবে। বেশকিছু দেশ রোগটির ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠেপড়ে লেগেছে। বেশকিছু ট্রায়াল হয়েছে, কিছুটা অগ্রগতিও হয়েছে।

দেশে, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এখন করোনা সংক্রমণ চরম সীমায়। সংক্রমিতদের প্রায় ৮৫ শতাংশ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়; কিন্তু তাদের দ্বারা অন্যরা যেন সংক্রমিত না হয়, এ জন্য সতর্ক হতে হবে। যাদের বয়স ৫০-এর ওপর ও যে কোনো বয়সের যাদের কো-মরবিডিটি অর্থাৎ অন্য রোগ আছে যেমন: শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট বা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ; তাদের মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি।

রুল অব থাম্ব অনুযায়ী, আক্রমণের ১৫ শতাংশের হাসপাতাল লাগে; অর্থাৎ যদি ১ লাখ ৩০ হাজার সংক্রমিতের সংখ্যা হয়, তাহলে ২০ হাজার রোগীর জন্য হাসপাতালের বিছানা লাগে। ১০ শতাংশের ICU লাগে (১৩ হাজার ICU বেড) ও প্রায় ৫ শতাংশের (৭,৫০০) রোগীর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ভেন্টিলেটর বা IB জাতীয় যন্ত্র লাগে; কিন্তু তারপরও এ ৫ শতাংশ ক্রিটিক্যাল রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

তবে শুধু বেড থাকলেই হবে না; সঙ্গে উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার ও জনবল লাগে। উল্লিখিত প্রয়োজনীয় রসদ ও জনবলের সামান্য অংশও আমাদের দেশে এ মুহূর্তে নেই। সুতরাং সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে জনগণের জীবন বাঁচাতে হবে।

জ্বর ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি; ২-৩ দিন, তারপরই মারাত্মক দুর্বলতা (Fatigue) মানে বিছানা থেকে উঠতেই কষ্ট), তীব্র গলাব্যথা, যার কারণে কথা বলতে পারছেন না এমন (এমনটি নয় যে, কেমন ব্যথা ব্যথা লাগে মনে হওয়া) ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট- এ ৩টি উপসর্গ দেখা দিলে তিনি অবশ্যই করোনা টেস্ট করে চিকিৎসা নেবেন।

নভেল করোনাভাইরাস আমাদের এখানে প্রতিবছর হয়ে যাওয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার সমগোত্রীয়। করোনার উপসর্গ আর ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ ৯০ শতাংশ প্রায়ই একই রকম। তাই এ ধরনের উপসর্গ হলেই করোনা টেস্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। নিজের বাড়িতে সামাজিক ও পারিবারিক দূরত্ব মেনে চলুন। ১৪ দিন পর জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট না থাকলে আপনি মনে করবেন, আপনি করোনা বা ইনফ্লুয়েঞ্জা মুক্ত।

কিন্তু সর্বসাধারণের করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। মনে রাখবেন, বর্ণিত উপসর্গগুলো না থাকলে আপনি করোনা টেস্ট করতে যাবেন না। কারণ, তা শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয়; বরং আপনার জন্য ভিড়ের কারণে আসল করোনা রোগীর টেস্টে দেরি হবে ও একটি করোনা টেস্ট কিট খামোখা নষ্ট হবে।

এ কিট আমাদের বাইরে থেকে আনতে হয়। আর এ কিট আনতে সময় লাগে এবং এর অভাবে অনেক জঞ চঈজ ল্যাব বা পরীক্ষা কেন্দ্র অনেক সময় বন্ধ থাকে।

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ১. ট্যাবলেট জিঙ্ক, ভিটামিন-‘সি’, ভিটামিন-‘ডি’ ও ক্যালসিয়াম খাবেন। ২. আমিষ প্রধান খাদ্য যেমন: ডিম, মাছ ও মাংস; সঙ্গে সামান্য তরকারিও খাবেন। আম, কাঁঠাল ও অন্যান্য দেশি ফল যত পারেন খাবেন (কামরাঙ্গা ছাড়া); তবে তা মূল খাবারের পরে।

জরুরি প্রয়োজনে মাস্ক পরে বাইরে বের হবেন; নয়তো বাসায় থাকবেন। বাসায় ফিরেই প্রথমে হাত ধুয়ে নেবেন। বাসায় বানানো বা গেঞ্জির মাস্ক ঘরে এসে ধুয়ে শুকিয়ে নেবেন।

স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে বারবার হাত পরিষ্কার করবেন। মাস্ক ও চশমা ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোবেন না। কাপড়ের মাস্ক হলে বাসায় এসেই তা ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে আবার ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রার্থনা করি, করোনার ভ্যাকসিনটি দ্রুত বাজারে আসুক এবং তা কার্যকর সাফল্য বয়ে আনুক। ততদিন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা- ধরিত্রীকে এ ভয়ংকর বিপদ থেকে তিনি রক্ষা করুন।

ডা. মো. নাজমুল করিম : অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

 

সুত্রঃ যুগান্তর