করোনা ভাইরাস: হুজুগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে রাজশাহীর বাজারে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হুজুগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে রাখছে মানুষ। রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে একসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ভির বেড়েছে সাহেববাজারে। ক্রেতারা বলছেন, সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে দাম বাড়তে পারে। তােই আগে থেকেই কিনে নিচ্ছেন তারা।

আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে প্রচুর ক্রেতা। কারো মাসে ১০ কেজি পেয়াজ লাগলে তিনি আরো ১০ কেজি বেশি কিনছেন। এমন চিত্র সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে। এছাড়া যার বাসায় মাসে ২০ কেজি চাল লাগে, দেখা যাচ্ছে তিনি এখন কিনছেন ৫০ কেজির এক বস্তা। বাজারগুলোয় মানুষের ব্যাপক ভিড়।

বাজার করতে আসা সুমাইয়া ইসলাম জানায়, কিছু বলা যাচ্ছে না। যদি সরকার সবকিছু দেন। তাহলে বাইরে বের হওয়া সম্ভব হবে না। তখন অনেক সমস্যা হবে। তাই আগে থেকেই কিন রাখছি।

রাজশাহীর মাস্টারপাড়া এলাকার চিত্র

দামের বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু মানুষ বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন। তাই বাজারে চাহিদা বেশি। তাই চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়া বাজার মনিটরিং এর উপরে জোর দেন তিনি। বাজার মনিটরিং থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

ব্যবসায়ীরা বললেন, দাম বেশি বেড়েছে চালের। মানভেদে প্রতি কেজিতে দুই থেকে চার টাকা। খোলা সয়াবিন, পামতেল, ডাল, ডিম ও আলুর দাম কিছুটা বাড়তি। বিদেশি শিশুখাদ্য ও ডায়াপারের দামও বাড়তি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। জীবাণুনাশকের দাম তো আগে থেকেই বেড়ে গেছে।

বাজারে মানুষের চাপ যেহেতু বেশি, সেহেতু দর-কষাকষির সুযোগ কম। ফলে আগে যেটুকু ছাড় পাওয়া যেত, সেটাও এখন পাওয়া যাচ্ছে না।

অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন যাঁরা বিপুল পরিমাণে কিনে রাখছেন, তাঁদের কয়েক দিন পরই আফসোস করতে হতে পারে। পণ্যের ঘাটতি নেই। তাই কয়েক দিন পর চাপ কমে গেলে দাম কমে যেতে পারে। আর এখন যাঁরা বেশি কিনছেন, তাঁরা এক-দেড় মাসে আর বাজারে আসবেন না। ফলে বাজারে চাহিদা কমবেই।

Image may contain: 8 people, crowd and outdoor

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বিক্রেতা বলছেন, সবে করোনা ভাইরাস আসলো দেশে। এখনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকর হওয়ার কোন কারণ নেই। পর্যপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে রয়েছে দেশে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকট দেখা দিতে চার-পাঁচ মাস সময় লাগবে। কারণ দেশে যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রয়েছে সেগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংকট হওয়ার কথা না।

তিনি আরো বলেন, এখন হুজুগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনছে মানুষ। পরের দিকে পেঁয়াজের মত হবে। দাম একদম কমে যাবে। বুঝতে মানুষ।

যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দেশের কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব হওয়া হবে। পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এছাড়া দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরিমানাও করা হচ্ছে। গব বৃহস্পতিবার সাহেববাজার এলাকায় এক রাইস এজেন্সিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

স/আ