করোনা পরিস্থিতিতে পাল্টে যাচ্ছে সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানও। করোনা পরীক্ষা ছাড়া নববধূরও এখন ঠাঁই নেই শ্বশুরবাড়িতে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের মধ্যে বিয়ে হওয়ায় এমনই অভিজ্ঞতা হলো এক সদ্য বিবাহিতার!
কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোমবার বাঁশবেড়িয়ার খামারপাড়ার রায়গলির বাসিন্দা অলোক মাঝির সঙ্গে পান্ডুয়ার রবীন্দ্রপল্লীর তরুণী দীপালি ঢালির বিয়ে হয়।
পুলিশের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান হয়। সেখানে দুই বাড়ি মিলিয়ে মেরে কেটে জনা ৫০ লোক ছিলেন। সবাই যেন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখেন, সেদিকে নজর ছিল কনেবাড়ির লোকজনের।
সবার মুখেই ছিল মাস্ক। পুরোহিত মন্ত্রোচ্চারণ করলেন মাস্ক পরেই। মঙ্গলবার ছিল নববধূকে নিয়ে অলোকের বাড়ি ফেরার পালা। তবে কনে বিদায়ের পর্ব সমাধানের পর নবদম্পতিকে যেতে হলো পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে।
সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় তাদের। তার পর চুঁচুড়া সদর হাসপাতালেও আরেকবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসক জানালেন, দুজনের মধ্যেই করোনা বা অসুস্থতার কোনো লক্ষণ নেই। এর পরেই স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ঢুকলেন ওই তরুণ। তখনও দুজনের মুখে শোভা পাচ্ছে মুখাবরণ।
পাত্রের বন্ধু রাজকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, বুধবার অলোকের বাড়িতে হবে বৌভাতের অনুষ্ঠান। পুলিশের অনুমতিসাপেক্ষে মোট ২০ জন অনুষ্ঠানে থাকবেন। পেশায় রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী অলোক ঠিক করেছেন, ৫০ জন অসহায় মানুষের বাড়িতেও রান্না করা খাবার পৌঁছে দেবেন।
সুত্রঃ যুগান্তর