করোনা নিয়ে সরকারি নির্দেশনা মানছেন না তানোর আ.লীগের নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকারি নির্দেশণা অনুযায়ী কোনো ধরনের গণজমায়েত করা যাবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে বার বার। কিন্তু এসব নির্দেশনা কানেই তুলছেন না তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাসহ তার অনুসারি। ময়না উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হলেও তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে বেড়াচ্ছেন প্রতিদিন।

গতকাল শুক্রবারওবাধাইড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ২০০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তানোরে।


ময়নার ফেসবুক স্ট্যাটাস সূত্র মতে, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না তানোরের কামারগা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আগের দিন তিনি উপজেলার বাধইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। বৃস্পতিবারের সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তিন-চার শ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না নিজের ফেসবুকে সম্মেলনের ছবি দিয়ে একটি পোস্টও করেন। তাতে তিনি লিখেন আজ বিকেলে কামারগা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শ্রী-খণ্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। ময়না এই সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন এমন ছবিও পোস্ট করেছেন।


এদিকে তানোর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘ময়না গায়ের জোরে নিজের মতো কমিটি দাঁড় করাতে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই করোনা আতঙ্কের মধ্যেই সম্মেলন করে বেড়াচ্ছেন। তিনি তানোরের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদকেও এসব সম্মেলনে ডাকছেন না। ময়না যুবলীগের সভাপতি হলেও গঠণতন্ত্রের বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে বেড়াচ্ছেন। এতে করে সাধারণ নেতাকর্মীর মাঝে যেমন করোনা ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে, তেমনি গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করাতেও ময়নার বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

গতকাল শুক্রবারওবাধাইড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাম কমল মাস্টার প্রমুখ। এরা সকলেই ময়নার অনুসারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ফোন রিসিভ করেননি।


জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আমরা সব ধরনের সভা ও গণজমায়েত বন্ধ রেখেছি। এরপরও কেউ যদি দলীয় সভা ও সম্মেলন করে সেটি তার নিজস্ব ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নাই।’

স/আর