করোনা: ক্রেতাশূন্য রাজশাহীর রেস্তোরাঁ পাড়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা ভাইরাস এমন আতঙ্কে সপ্তাখানেক থেকে ধুকে ধুকে চলছিলো রাজশাহীর রেস্তোরাঁগুলো। ছিলোনা তেমন কাস্টমারের চাপও। তার মধ্যে করোনা অনেক রেস্তোরাঁ কর্মীচারীরা বাড়ি ফিরেছে। সর্বশেষ গত তিন-চার দিন থেকে পুরো দমে বন্ধ রয়েছে রাজশাহীর সব রেস্তোরাঁ।

তবে রেস্তোরা মালিকরা বলছেন- এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এছাড়া ব্যাংকের ঋণ ও প্রতিমাসের ভ্যাট পরিশোধ নিয়ে চিন্তাই আছেন তারা। এছাড়া যে রেস্তোরা কর্মচারী বাড়ি যেতে পারেনি তাদের দেখভাল করতে হচ্ছে মালিকদের।

সরেজমিনে রাজশাহী নগরীর, সাহেবাজার, অলোকার মোড়, নিউ মার্কেট, লক্ষ্মীপুর  এলাকার সব রেস্তোরাগুলো বন্ধ দেখা যায়। রেস্তোরাগুলোর মূল ফটকে তালা ঝলতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন রেস্তোরা মালিক জানান, করোনা ভাইরাস এমন আতঙ্কে চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে তেমন কাস্টমার নেই। তার পরেও চলছিল। করোনা প্রতিরোধে দু’জনের বেশি এক সাথে চলাচল করা যাবে না। এর পর থেকে আরো কমেছে কাস্টমার। এছাড়া রেস্তোরার শ্রমিকদের মধ্যেও ভিতি কাজ করেছে। রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা বেশিরভাগ বাড়ি চলে গেছে।

তিনি আরো জানান, অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। প্রতি মাসে রেস্তোরাঁর ভ্যাট দিতে হয়। সেই টাকা তারা কিভাবে যোগান দেবেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে অনেকটাই বেকায়দায় আছেন তারা।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান রিংকু সিল্কসিটিনিউজকে জানান, মূলত করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের রেস্তোঁরাগুলো বন্ধ রয়েছে। রাজশাহী জেলায় ছোট-বড় চাইনিজ, বাংলা মিলে ১৫০টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এসব রেস্তোরায় আরো তিন হাজার জন শ্রমিক কাজ করে।

তিনি আরো বলেন, এইসব শ্রমিক এখন বেকার। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাড়িতে গেছেন। এছাড়া কেউ কেউ থেকে গেছে। যারা থেকে গেছে তাদের নিজ উদ্যোগে খরচ চালাচ্ছেন মালিকরা। অন্যদিকে এই সব শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য করার কথা ভাবছেন তারা।