করোনা : এক তৃতীয়াংশই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই কোননা কোন ভাবে সংক্রমিত অন্যকোন রোগীর সংস্পশে এসেছেন। স্থানীয়দের অসচেতনতায় রাজশাহী জেলায় করোনা সামাজিক ভাবে বিস্তার লাভ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য। গত ৭জুন এই জেলায় রোগী ছিলো ৭৭ জন। ১০ দিনের ব্যবধানে ১৭ জুন যে সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৫৬ জনে। যা দ্বিগুণেরও বেশি।

রাজশাহী জেলায় মোট শনাক্তের সিংহভাগই জেলা শহর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দা। সিভিল সার্জনের হিসেবে জেলায় মোট শনাক্তের তিন ভাগের এক ভাগ রোগী নগরীতে অবস্থান করছেন।

রাজশাহী জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ১২ এপ্রিল পুঠিয়া উপজেলায়। আর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রথম শনাক্ত হয় ১৫ মে উপর ভদ্রা এলাকায়।

বুধবার সকালে সিভিল সার্জনের দেয়া হিসেবে দেখা যায়, রাজশাহী জেলায় মোট শনাক্ত হওয়া ১৫৬ জন রোগীদের মধ্যে ৫৮জনই নগরীতে বা সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে বসবাস করছেন। যদিও রাজশাহীর দুইটি ল্যাব থেকে পাওয়া তথ্য বলছে এই সংখ্যা আরো বেশি।


আরও পড়ুন : রাজশাহীর দুটি ল্যাবে এক দিনে ১৮ জনের করোনা পজিটিভ


নগরীতে ১৫ মে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় উপর ভদ্রা এলাকার এক গৃহিনী। পরবর্তিতে তারা স্বামী ও কণ্যাসহ স্বপরিবারে আক্রান্ত হন। নিয়ম মেনে হোম আইসোলেশনে থেকে ১৪ দিন পর তাদের সকলেই সুস্থ হয়েছেন।

এদিকে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার কর্মস্থল থেকে শনাক্ত হওয়া রোগীদের অনেকেরই বসবাস এই নগরীতেই। আর সেই শনাক্ত হওয়া রোগীদেরকে দেখান হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলার হিসবে। আবার জেলা পুলিশ ও পুলিশ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আবাসও এই নগরীতেই। সিভিল সার্জনের হিসেবে এদের অনেককেই নগরীর রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।

রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মধ্যে মোহনপুরে ১৮ জন, তানোরে ১৭ জন, চারঘাটে ১৪জন, বাঘায় ১২, পুঠিয়ায় ১১, বাগমারায় ১১, পবায় ৯ দুর্গাপুরে ৫ আর গোদাগাড়ীতে মাত্র ১জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের অধিকাংশই বাড়িতেই আসোলেশনে আছেন।

স/রা