করোনা: ঈদুল আজহা পালনে সতর্ক অবস্থানে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসন

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:
চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পালন করতে হবে ঈদুল আজহা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসব কোরবানির ঈদে যেন জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ঝুঁকিতে না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন গোদাগাড়ী উপজেলা প্রসাশন। এলাকাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ রবিবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে  পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে  প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কাঁকনহাট পৌর মেয়র আব্দুল মজিদ,  উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গণ প্রমূখ।
আগামী ৩১ জুলাই অথবা ১ আগস্ট বাংলাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে নিজেদের মতো প্রস্তুতি শুরু করেছেন স্থানীয় প্রসাশন। পশুর হাট সীমিত আকারে নিয়ে আসার পাশাপাশি পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থানও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে পশুর হাট ও পশু জবাইয়ের স্থান নিয়েও।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি আমরা নিতে পারি না তাই হাটে যারা ইজারাদার থাকবেন তাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যেমন আমরা বলেছি, প্রতিটি পশুর মাঝে যেন অন্তত ৫ ফিট ফাঁকা জায়গা থাকে। যদি তারা এটা না মানেন তাহলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়াও প্রতিটি হাটে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পশু জবাই দেওয়ার স্থান সীমিত আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। আমরা এলাকাবাসীদের বলব, তারা যেন নির্ধারিত স্থানে এসেই পশু জবাই করেন। এই দুর্যোগকালে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের। কঠিন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনত হবেন এবং আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আমরা আহবান জানাচ্ছি।