করোনা আতঙ্কে এশিয়ার সীমান্তে এখনো কড়া নজরদারি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভ্যাকসিনেশনের হার বাড়লেও এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সীমান্তে এখনো কড়া নজরদারি।  জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালোয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে এখনো কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশে এখনো রয়েছে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

চীনের মূল ভূখণ্ড এবং হংকং জিরো কভিড নীতির আওতায় রয়েছে। সেখানে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে।

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় যেখোনে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা ভ্রমণ করতে পারছেন সেখানে ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে এশিয়া। সিঙ্গাপুরের আইএসইএএস–ইউসোফ ইশাক ইন্সটিটিউটের শীর্ষ কর্মকর্তা জায়ান্ত মেনন বলেন, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মতো এশিয়ার দেশগুলোকেও পুনরায় স্বাভাবিকভাবে সীমান্ত খোলার বিষয়ে আরও অনেক দূর যেতে হবে।

ভ্যাকসিনের হার বেশি হওয়া স্বত্বেও অনেক দেশই যত দ্রুত তাদের অভ্যন্তরীন বিধিনিষেধ শিথিল করছে তত দ্রুত আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলছে না।

জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে এরই মধ্যেই ভ্যাকসিনের হার ৮০ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারী এবং ছাত্রদের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও এখনও পর্যটকদের জন্য ভ্রমণের অনুমতির ঘোষণা আসেনি।

অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছে। আগামী বছর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য দুয়ার খোলা হচ্ছে না। মালয়েশিয়ায় ৭৭ শতাংশ বাসিন্দা ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিয়েছেন। সেখানে এখন আন্তজার্তিক ভ্রমণকারীদের জন্য দুয়ার বন্ধ রয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সিঙ্গাপুরে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিয়েছেন। তাদের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ক্রমে কোয়ারেন্টাইনমুক্ত ভ্রমণ পুনরায় শুরু করেছে তারা। আগামী মাসে এর সাথে যোগ হকে ২১ দেশের নাম।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনার শুরুর দিকেই ৯৯ শতাংশ দেশে ভ্রমণকারীদের জন্য দুয়ার বন্ধ করে দেয় এশিয়া, যেখানে মেক্সিকোতে এ সংখ্যা ছিলো ২০ শতাংশ এবং ইউরোপে ৬৫ শতাংম।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কমপিটিটিভনেস ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী, মহামারির আগে এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো প্রতি বছর ২৯.১ কোটির বেশি মানুষকে স্বাগত জানিয়েছে। এতে অর্থনীতিতে ৮৭৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি যুক্ত হয়েছে।