করোনায় রাজশাহীতে আটকা পড়েছেন বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের সাথে ভারতের স্থলপথে (বর্ডার) যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে করে রাজশাহীতে আসা ভারতীয়রা আটকে পড়েছে।

এদের মধ্যে তাদের অধিকাংশেরই ভিসার মেয়াদ ফুরিয়েছে। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে আটকে পড়া ভারতীয়রা। ঠিক একই ভাবে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশীরাও আটকে আছে সেই দেশে।

তবে শিঘ্রই আটকে পড়া বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসছে উল্লেখ করে পাসপোর্ট বিভাগ জানিয়েছে, ভিসার মেয়াদ ফুরোনোর তিন মাস পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হবে না।

আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১০টায় রাজশাহী নগরীর শালবাগান পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, একদল মানুষ পাসপোর্ট হাতে অফিসটির প্রধান ফটকের সামনে দাড়িয়ে আছেন। তবে সেই ফটকে তালা দেয়া। প্রত্যেকের কপালেই দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট।

কথা বলে জানা যায়, তাদের অধিকাংশই ভারতীয়। এদের মধ্যে যারা বাংলাদেশী আছেন তাদের বাড়িতে অবস্থান করছে ভাতরীয় আত্মিয়রা। তারা এসেছেন ওই আত্মিয়ের হয়ে তথ্য নিতে।

বাংলাদেশে আটকে পড়া জমিরন বিবি জানান, তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে এপ্রিল মাসে। তিনি রাজশাহীতে তার আত্মিয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। এর মাঝে বর্ডার বন্ধ হয়ে গেলে তিনি চাইলেও আর ভারতে ফিরতে পারছেন না।

জমিরন বিবি আরো বলেন, এভাবে এতোদিন আত্মিয়ের বাড়িতে পড়ে থাকতে নিজেরও লজ্জা লাগছে। তাছাড়া নিজ পরিবার থেকে এতোদিন দূরে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। মনটা আমার দেশে ফিরে যেতে ছটফট করছে। একই অবস্থা নুরবানু বিবি, আইজুদ্দি শেখ, দবিরুদ্দিন শেখের মতো বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের।

এদিকে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক আজমল কবির জানান, ভারতীয় যারা বাংলাদেশে আটকে আছে তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যার যেদিন ভিসার মেয়াদ ফুরিয়েছে সেদিন থেকে আগামী তিন মাস তিনি বাংলাদেশে বৈধ।

পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সরকারি এই কর্মকর্তা আরো জানান, দুই মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার (৩১ মে) অফিস খুললো। এর মাঝেও যাদের জরুরী ভিত্তিতে ভিসার প্রয়োজন ছিলো তাদের কাজ করা হয়েছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই সরকারের তরফ থেকে আটকে পড়া বিদেশি নাগরিকদের জন্য নির্দেশনা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স/অ

আরো পড়ুন …

ফুপুকে দেখতে রাজশাহীতে এসে দূর্ভোগে ভারতীয় তিন পরিবার