করোনায় মারা গেছেন ১৩৩ ব্যাংকার

সিল্কসিটিনিউজ  ডেস্ক:

কোভিড-১৯ এর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেও সেবা দিয়ে যাচ্ছে দেশের ব্যাংকিং সেক্টর। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা দেওয়ার কথা বলা হলেও গ্রাহকদের ভিড়ে সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণ বহু ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী সংক্রমিত হচ্ছেন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩৩ জন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া মহামারির গত ১৫ মাসে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩৯৯ জন। চলতি জুনে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে। ১৪ শতাংশ ব্যাংকার করোনায় আক্রান্ত।

করোনাকালে ঝুঁকি ভাতা দিচ্ছে ব্যাংক। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্যাংকারদের পরিবারকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। কর্মচারী মারা গেলে দেওয়া হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। আর ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার থেকে অফিসারের নিচের পদমর্যাদার কর্মকর্তার পরিবার পাচ্ছেন ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এছাড়া লকডাউনে ব্যাংকারদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পরিবহণের ব্যবস্থা করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বেসরকারি বেশির ভাগ ব্যাংকই তা মানছে না। আর ব্যাংক শাখাতেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। ফলে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আক্রান্তের পরিমাণও বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ২০৬ জন। আর গত মে পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩৯৯ জন। ফলে ব্যাংকের জনবলের প্রায় ১৪ শতাংশই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৬ জন ব্যাংকার। আর মারা গেছেন ২ জন। করোনায় মারা যাওয়া ১৩৩ কর্মকর্তার মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোরই ৭৩ জন।