করোনায় পর্যটকশূন্য গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনি

গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লুম্বিনি করোনা মহামারির কারণে পর্যটক শূন্যতায় ভুগছে। ভারতীয় পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম লুম্বিনি। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত এ স্থানে প্রতি বছর প্রচুর ভারতীয় পর্যটক ঘুরতে আসতেন। তবে এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পর্যটক শূন্যতায় খাঁ খাঁ করছে নেপালের অন্যতম জনপ্রিয় এই পর্যটন স্পট। বৈশ্বিক মহামারির এ সময়ে দেশটির পর্যটন খাত ভেঙে পড়ার পাশাপাশি লুম্বিনি একেবারে সুনসান।

‘হিমালয় কন্যা’ খ্যাত নেপাল মূলত পর্যটন নির্ভর দেশ। দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের ভিড় সারা বছর লেগেই থাকে। এর মধ্যে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা একেবারে কম নয়। লুম্বিনি থাকে তাদের অন্যতম গন্তব্য। বৈশ্বিক মহামারির এ সময়ে তারা নেপালে ঘুরতে যেতে পারছেন না, যেতে পারছেন না লুম্বিনিতেও। এর প্রভাব পড়েছে নেপালের অর্থনীতিতে।

লুম্বিনি ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের সদস্য সচিব জ্ঞানিন রায়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, গত বছর লুম্বিনিতে ৯৩ হাজার ৮৫২ জন ভারতীয় পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। এসময়ের মধ্যে নেপালি পর্যটক ছিল ৬ লাখ ৮০ হাজার ২০৬ জন। আর বিশ্বের অন্যান্য দেশের পর্যটক ছিল ৮৬ হাজার ৫৩১ জন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে লুম্বিনি একেবারেই ফাঁকা।

জ্ঞানিন রায়ের কথায়,’প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে মানুষ পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে আসে। এছাড়া মানুষ এখানে ভ্রমণ করতে আসেন নানা উপলক্ষ উদযাপনের জন্যও। এসময় ব্যবসাও হয় জমজমাট। এখন লুম্বিনি নীরব, ফাঁকা। আমরা পর্যটকদের অনুপস্থিতি উপলব্ধি করতে পারছি। একইসঙ্গে করোনা ভাইরাসের সঙ্কটের মধ্যে আমাদের আয়ও তলানিতে নেমেছে।’

নেপালের দক্ষিণ সমভূমিতে অবস্থিত রুপানদেহি জেলার সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। এ জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট হয়ে কোনো ধরনের নথিপত্র ছাড়াই হাজার হাজার ভারতীয় নেপালে ঘুরতে যায় প্রতিবছর।

গত বছর ১১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করেছেন। এরমধ্যে ২ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জনই ছিলেন ভারতীয় পর্যটক।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ