বৃহস্পতিবার , ৭ মে ২০২০ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

করোনায় তছনছ দেশের অর্থনীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে বিতর্ক

Paris
মে ৭, ২০২০ ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ

কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন)। প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীরা একেক রকম কথা বলছেন। করোনার এ মহামারীতে অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি এখনই বলা কঠিন।

তবে করোনা কতদিন স্থায়ী হয় তার ওপরই নির্ভর করছে সব। বিশ্বব্যাংক বলেছে এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২-৩ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে ২ শতাংশে নেমে যেতে পারে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা গেলে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাথমিক হিসাবে বলা হয়েছে – প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

এর আগে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস ঠিক নয় বলে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, এ বছর প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। তবে প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে বিতর্ক থাকলেও করোনায় প্রবৃদ্ধির যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ নিয়ে সবাই একমত।

সূত্র বলছে, পরিসংখ্যান ব্যুরোর অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে জানতে চাইলে সংস্থার মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের প্রাথমিক কোনো হিসাবই তৈরি করা হয়নি। কেননা অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের অবস্থা তো ভালোই ছিল। বর্তমানে করোনার কারণে সব কিছুই বন্ধ রয়েছে।

প্রথম ৮ মাসের সঙ্গে শেষ ৪ মাসের হিসাব একেবারেই মিলবে না। তাই আমরা প্রতিবছর প্রাথমিক একটি হিসাব তৈরি করলেও এ বছর করিনি। তবে একথা বলতে পারি, এ অর্থবছর প্রবৃদ্ধির হার কম হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেছেন – প্রবৃদ্ধি যে ২-৩ শতাংশে নেমে যাবে একথা ঠিক নয়। কেননা অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া এবার বোরোসহ কৃষিতে ভালো ফলন হয়েছে। লকডাউন চললেও দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫-৬ শতাংশের মধ্যেই থাকবে।

তবে ১২ এপ্রিল ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, এ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২-৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে করোনা কতটা দীর্ঘায়িত হবে। এর পরদিন ১৩ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের এ পূর্বাভাস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এখনই এটা বলার সময় আসেনি।

জানতে চাইলে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন  বলেন – করোনার কারণে অবশ্যই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে সন্দেহ নেই। বিশ্বব্যাংক ২-৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলেছে। কিন্তু ওই প্রতিবেদনে অনেক দেশের নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। করোনা দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নেগেটিভ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের পরদিন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএসএফ) জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।

‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক-২০২০, দ্য গ্রেট লকডাউন’ প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশের ২০২০ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ পূর্বাভাস দেয়। তবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে এ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি জোরালোই থাকবে বলে মনে করছে।

সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, যা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। ৩ এপ্রিল প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সরকার চলতি অর্থবছর ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল।

 

সুত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য