করোনার সম্ভাব্য চিকিৎসার কথা বলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কয়েকটি চিকিৎসায় কোভিড-১৯ রোগের তীব্রতা ও ব্যাপ্তি সীমিত হয়ে আসছে বলে দেখা গেছে। রোগটি নিরাময়ে সম্ভাবনার যেসব উপায় দেখা গেছে, তার মধ্যে চার কিংবা পাঁচটি সম্পর্কে জানতেই বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসা, শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধে কার্যকর নিরাপদ ওষুধ, পরীক্ষা ও টিকা উদ্ভাবনে বৈশ্বিক উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছে জেনেভাভিত্তিক এই সংস্থা।

রয়্টার্সের হিসাবে, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৪১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, কিছু চিকিৎসা আমাদের হাতে আছে, প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, তাতে অসুস্থতার ব্যাপ্তি ও তীব্রতা কমে আসছে। কিন্তু এমন কিছু নেই, যাতে ভাইরাসটিকে ধ্বংস কিংবা বিস্তার বন্ধ করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে আসা কিছু উপাত্তে সম্ভাব্য ইতিবাচক বার্তাই দিচ্ছে। কিন্তু শতভাগ আত্মবিশ্বাসের জন্য আমাদের আরও বেশি উপাত্তে নজর দিতে হবে। তখনই নিশ্চিত বলতে পারবো, এই রোগের চিকিৎসা কী হবে।

সেক্ষেত্রে আরও গবেষণা ও পরিকল্পনা করতে হবে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নারী কর্মকর্তা মন্তব্য করেন। তবে এসব চিকিৎসার নাম বলেননি হ্যারিস।

গিলাড সায়েন্স ইনকর্পোরেশন জানায়, করোনা রোগীদের সুস্থ হতে তাদের ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ রেমডেসিভির সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

করোনার টিকা উদ্ভাবনকে ঘিরে যে প্রত্যাশা বাড়ছে, তাতে সতর্কতামূলক নোট দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা বলেন, করোনা খুবই জটিল একটি ভাইরাস হওয়ায় এটির প্রতিরোধে টিকা উদ্ভাবনও কঠিন।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে শতাধিক টিকা উদ্ভাবনের কাজ চলছে। কয়েকটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে। গত এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, একটি কার্যকর টিকা আবিষ্কারে অন্তত ১২ মাস সময় লাগবে।

হ্যারিস বলেন, ভাইরাসের এখনকার মূল উৎসভূমি যুক্তরাষ্ট্র হলেও আফ্রিকায় রোগী বাড়ছে।