করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সমাজিক দূরত্ব মেনে চলতে চলছিল মাইকে প্রচারণা। এর মধ্যে এক সঙ্গে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ এক জায়গায়। একজনের সঙ্গে অন্যজনের দূরত্ব ছিল না বললেই চলে। ছিল না অনেকের মুখে মাস্কও। থেমে নেই হাঁচি-কাশি। খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। কিন্তু এসব নিয়ে কারো ভাবনা নেই। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন পুলিশের এসআই মো. ইমরানের নেতৃত্ব আরো কয়েকজন কনস্টেবল। তাঁরা অবশ্য কিছুটা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁদের সবার মুখে ছিল মাস্ক।
এ অবস্থায় দূর থেকে পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে প্রশ্ন না শুনেই পুলিশের এক কনস্টেবল বলে ওঠেন, ‘উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন।’ পরে রিয়াজুল নামে এক যুবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা সবাই ‘শমসের’ গার্মেন্টের শ্রমিক। বকেয়া মজুরি, চাকরির নিশ্চয়তা, চাকরি থেকে ছাঁটাই করাসহ মালিকপক্ষের নানা হুমকি পেয়ে রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করছেন তাঁরা। করোনাভাইরাসের ভয় আছে কি না জানতে চাইলে পাশে থাকা আরো কয়েকজন গার্মেন্ট শ্রমিক বলতে থাকেন, ‘করোনাভাইরাসের ভয় আছে। তয় পেটের ক্ষুধা তার চাইতেও বেশি। তয় বেতন দিলে রাস্তায় নামুম না।’ গতকাল রবিবার রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সরেজমিনে এই চিত্র দেখা গেছে।
শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই ইমরান বলেন, ‘দাবি আদায়ে এরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। গার্মেন্টের এই কর্মীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বললেও তারা শুনছে না।’
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ