সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে চীন। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট করোনাভাইরাসের হাসপাতালটি গত বুধবার থেকে চালু করে দেশটি। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য দ্বিতীয় হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করেছে চীন।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই হাসপাতালটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের লেশেনশান শহরে হাসপাতালটি তৈরি করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, দ্বিতীয় হাসপাতালটি ইতিমধ্যে আকার নিতে শুরু করেছে এবং তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই হাসপাতালটি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশব্যাপী চারটি চিকিৎসা সেবা প্রকল্পের কথা জানায় চীন সরকার। যার মধ্যে হুয়াংগ্যাংয়ে নির্মিত প্রথম হাসপাতালটিতে বুধবার থেকে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর উহানে প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরপর চীনের সীমানা পেরিয়ে এই ভাইরাস রাজধানী বেইজিং, সাংহাই, ম্যাকাও এবং হংকংয়ের বাইরে বিশ্বের ১৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের বাইরে ৯১ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে চীনের বাইরে এ ভাইরাসে কারও মৃত্যুর তথ্য এখন পর্যন্ত আসেনি।
এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এখন পর্যন্ত চীনে ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ও আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার জন।