করোনাকাল যেভাবে হিজাবের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে

করোনা মহামারির কারণে বদলে গেছে মানুষের জীবন। ঘরে ও কর্মক্ষেত্রে এ পরিবর্তনের প্রভাব অনেক বেশি। পোশাকের প্রতি মানুষের মনোভাবকে বদলে দিয়েছে এ মহামারি। বিশেষত হিজাবের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসলামকি ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন কাউন্সিলের প্রধান আলিয়া খান।

আলিয়া খান বলেন, করোনাকালে অন্যান্য পরিবর্তনের মতো মুসলিমদের জীবনযাত্রায়ও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তবে এ পরিবর্তন মুসলিম বা যারা ইসলামিক লাইফস্টাইল অনুসরণ করে তাদের জন্য আদর্শ ছিল। কারণ মুসলিমরা সাধারণত শালীন পোশাকের পাশাপাশি কমনীয়তাকে গ্রহণ করে থাকে।

তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির এ সময়ে সবাই নিজেকে আবৃত রাখতে অভ্যস্ত। আমি মনে করি, তা ইসলামিক ফ্যাশনের সুবিধা প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া মুসলিম পোশাকের প্রতি মানুষের নেতিবাচক মনোভাবও দূর করবে। তাছাড়া আগামী বছরগুলোতে মানুষের লাইফস্টাইল নির্ধারণে ইসলামিক ফ্যাশনের বড় প্রভাব তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আলিয়া মনে করেন যে ইসলামিক ফ্যাশন বাস্তবধর্মী পোশাকের ধারণা দেয়। মানুষের প্রকৃতি ও স্বভাবজাত পোশাকের নির্দেশনা দেয় মুসলিম ফ্যাশন। অথচ ইসলামিক ফ্যাশনকে সব সময় নানা অজুহাতে উপহাস করা হয়। আর  হিজাব পরিধান করায় পশ্চিমারা মুসলিম নারীদের দুর্বল নিপীড়িত বলে অভিহিত করে থাকে। তাছাড়া বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন হলেও ইউরোপের অনেক দেশ হিজাব নিষিদ্ধ করতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে।

অথচ একইভাবে মুখ ঢেকে রেখে বিভিন্ন পেশার নারীরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সার্জারি, নার্সিং ও বেকার হিসেবে মাথা বা মুখ ঢাকা রেখেই কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ এসব বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করবে না। তাছাড়া ইহুদি, ক্যাথলিক, শিখ, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের নির্দেশনা অনুসারেও তা পালন করতে হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ