করোনা আতঙ্ক দূরে ঠেলে শীঘ্রই পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে সিকিম

আনলক ৪ পর্যায়ের শুরুতেই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির জন্য সুখবর। শীঘ্রই পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে সিকিমের দরজা। দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি ঠিকই, তবে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের জন্য সিকিমের দ্রষ্টব্য স্থানগুলি খুলে দিতে তৎপর হয়েছে খোদ সিকিম সরকার। তবে করোনা আবহে সিকিমের পর্যটনকেন্দ্রগুলি খোলা হলেও সংক্রমণ এড়াতে পর্যটকদের সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

গোটা দেশ করোনার গ্রাসে। যদিও ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আনলক ৪ পর্যায়। ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর তৎপরতা জারি। যদিও দেশে করোনার সংক্রমণ এখনও লাগামহীন। প্রতিদিন ৮৪ হাজার-৮৬ হাজার করে মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। সংক্রমণ এড়াতে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ফল মিলছে না। প্রতিদিন রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।

করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে দেশের একাধিক পর্যটনকেন্দ্রের পাশাপাশি সিকিমেও পর্যটকদের ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এখটানা কয়েকমাস পর্যটকদের জন্য সিকিমের দরজা বন্ধ ছিল। তবে এবার খুলছে সেই দরজা। উদ্যোগী খোদ সিকিম সরকার। করোনা আবহেই ধীরে ধীরে রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে প্রশাসন।

সিকিমের অর্থনীতির একটা অন্য়তম প্রধান স্তম্ভ সেখানকার পর্যটন শিল্প। বহু মানুষের রুজি-রোজগারের সংস্থান জড়িয়ে রয়েছে পর্যটনের সঙ্গে। করোনা আবহে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা বহু মানুষই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এরই পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রগুলি থেকে আয়ও তলানিতে এসে ঠেকেছে সিকিম সরকারের।

পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরেই তাই সিকিমের পর্যটনকেন্দ্রগুলি শীঘ্রই খুলে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে প্রশাসন। তবে ঠিক কবে পর্যটকদের জন্য সিকিমের দরজা খুলবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। জানা গিয়েছে, আপাতত বিদেশি পর্যটকদের জন্য সিকিমের দরজা খুলছে না।

শুধু দেশীয় পর্যটকদেরই বেড়াতে যাওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হবে। সেটাও আগাম বুকিং-এর ভিত্তিতে। নির্দিষ্ট পর্যটন কেন্দ্রে আগে থেকে বুকিং করে রাখলে তবেই মিলবে সিকিমে ঢোকার ছাড়পত্র। এরই পাশাপাশি পর্যটকদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় সেই সার্টিফিকেট দেখতে চাইবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। সূত্র: কলকাতা 24