‘কম নম্বর’ দেওয়ার অভিযোগের জবাবে যা বললো রাবি কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

‘এ’ ইউনিটের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে। এ নিয়ে তাই বেশ সমালোচনা হচ্ছে। তবে রাবি কর্তৃপক্ষ বলছে, মূল্যায়নে কোনো ত্রুটি ছিল না। নম্বর প্রদানে কোনো রকম বৈষম্য করা হয়নি।ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগ, পরীক্ষার পর তারা বিভিন্ন বই থেকে প্রশ্নোত্তর খুঁজে বের করেছেন। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে তারা প্রত্যাশিত নম্বর পাননি। এমনকি একই শিফটে পরীক্ষা দেওয়া অন্য সহপাঠীদের সঙ্গেও উত্তর মিলিয়ে দেখেছেন, কিন্তু একই উত্তর করে ১০-১৫ নম্বর পার্থক্য হয়েছে। যা অপ্রত্যাশিত অ্যাখ্যা দিয়ে ফল পুনঃমূল্যায়নের দাবি জানান তারা।

প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন, শরীফুল ইসলাম। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, তার ৫৮ দশমিক ৭৫ নম্বর আসার কথা। এটা বহুভাবে মিলিয়ে দেখেছেন। এর কম আসার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু  তিনি পেয়েছেন ৪৬.৫। যা খুবই অপ্রত্যাশিত।

খুলনার ভর্তিচ্ছু সাদিয়া আক্তার বর্ষা বলেন, প্রশ্নের উত্তর তিনি মিলিয়ে দেখেছেন। হিসাবে তার ৭৮ নম্বর আসে, কিন্তু পেয়েছেন ৬৩ নম্বর। তার কাছে মনে হয়েছে প্রতি প্রশ্নের মান ১ ধরে তার ওএমআর মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাছাড়া এমন হওয়ার কথা নয়।

জানতে চাইলে রাবি ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়ক একরাম উল্যাহ বলেন, যথাযথ সতর্কতার সঙ্গেই অন্তত ৩০ বারের অধিক যাচাই করে সব পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে ভুল হওয়ার কথা নয়। তবে প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে কারও কোনো রকম সংশয় থাকলে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে হবে। দিলে তাদের ওএমআর শিট পুনরায় যাচাই করা হবে। তবে প্রকাশিত ফলাফলে নম্বর নিয়ে বৈষম্য করা হয়নি।