কবে আসবে লঙ্কান বোর্ডের জবাব?

বিসিবির সঙ্গে লঙ্কান বোর্ডের কোন রফা কি হলো? শ্রীলঙ্কা থেকে কোন জবাব এসেছে? লঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কি করোনাকালীন সময়ে কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে অনমনীয় অবস্থান থেকে সরে এসেছে? ১৪ দিনের বদলে টাইগারদের ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে রাজি হয়েছে?- করোনার মধ্যেও এসব কৌতূহলি প্রশ্ন এখন ক্রিকেট অনুরাগিদের মনে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে।

মিডিয়ার সজাগ তৎপরতা। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সে দেশের করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ হাল হকিকত এবং বোর্ডের মতিগতি পাখির চোখে পরখ করছে বাংলাদেশের প্রচারমাধ্যম। ক্রিকেটপাড়ায় কিছু গুঞ্জনও বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। লঙ্কানরা কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। বরফ গলতে শুরু করেছে। লঙ্কান বোর্ডে মিডিং হয়েছে। সিরিজ যাতে হয়, সে চেষ্টা চলছে ভেতরে ভেতরে- এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। আর প্রতি মুহূর্তে তাই মিডিয়ার উন্মুখ অপেক্ষা, এই বুঝি এলো কোন নতুন খবর!

এভাবেই কাটছে সময়। যত কথাই শোনা যাক না কেন, লঙ্কান পত্রপত্রিকা আর মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে যতরকম ইতিবাচক সংবাদই প্রকাশিত হোক না কেন; কঠিন সত্য হলো, এখনও পর্যন্ত বিসিবিকে কোনরকম আশার বাণী শোনায়নি লঙ্কান বোর্ড। ঘুরিয়ে বললে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড থেকে বিসিবিকে এখনও পর্যন্ত কোন খবরই পাঠানো হয়নি। ইতিবাচক তো বহু দূরে, বিসিবি থেকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর যে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনের আবেদন করে মেইল পাঠানো হয়েছিল, সে অর্থে তার কোন জবাবই আসেনি।

এ বিষয়ে বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধান আকরাম খানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কোন ইতিবাচক খবর কি আছে? মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা নাগাদ মুঠোফোনে আকরামের জবাব, ‘না! আমরা কোন রিপ্লাই পাইনি।’ যিনি সর্বক্ষণ মেইল চেক করায় ব্যস্ত, সেই ক্রিকেট অপস ম্যানেজার সাব্বির খানও জানালেন, ‘নাহ! কোন খবর আসেনি।’

বিসিবি সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন, পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান প্রায় প্রতিদিন আশার বানী শোনাচ্ছেন, আশা করছি আজ-কালের মধ্যে লঙ্কান বোর্ডের জবাব চলে আসবে- এমন কথা শোনা যাচ্ছে কদিন ধরে। সোমবার দুপুরেও জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে লঙ্কান বোর্ডের জবাব নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন আকরাম খান। বলেছিলেন, আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই রিপ্লাই আসবে।

কিন্তু শেষপর্যন্ত তা বাস্তবের মুখ দেখেনি। বোঝাই যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর অবস্থানে লঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের নিয়মনীতি অনুসরণ করা ছাড়া আসলে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের কিছু করারও নেই। তাই জবাব দিতে দেরি। এদিকে দেশে এখন একটিই প্রশ্ন, শ্রীলঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কি আদৌ ১৪ দিনের বদলে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনের আবেদন মেনে নেবে?

এখন পর্যন্ত যেহেতু তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি কিংবা সহনীয় কোন গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাবও পাঠায়নি, তাহলে কি ধরে নেয়া যায়, তারা আগের জায়গায়ই আছে। এখন ঐ অবস্থাতে কি হবে? বিসিবির কি অবস্থান বদলের কোন সম্ভাবনা আছে?

এ সব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। আকরাম খানের একটিই কথা, আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। ইতিবাচক উত্তর আসলে গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে। টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে জাতীয় দল, অন্যথায় নয়। একথা আজও বলা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে বিসিবি আর কত দিন অপেক্ষা করবে? আগামী ২৭-২৮ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা যাত্রার কথা ছিল। সে হিসেবে আছে মোটে ৪-৫ দিন। এর মধ্যে যদি জবাব না আসে তাহলে কি আর সিরিজ হবে? নাকি ক্রিকেটাররা স্কিল ট্রেনিং বাদ দিয়ে তখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন?- কী হবে তা নিয়েই আছে বড়সড় সংশয়। লঙ্কানদের ইতিবাচক জবাবই পারে সে সংশয়ের কালো মেঘ সরাতে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ