কনস্টেবলকে মারধোর: রাজশাহীতে রেল নিরাপত্তার ৪ সদসের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক কনস্টেবল রিয়াজকে মারধরের ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা বাহিনীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় রেলের নিরাপত্তা বাহিনী চার সদস্য ও একজন অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী রেল স্টেশনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।

আজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী পশ্চিম রেলওয়ে থানার (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মারধরের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ট্রাফিক কনস্টেবল রিয়াজ থানা এসে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- নায়েক কাইয়ুম, সিপাহি শাহিন, মিজান, বেলাল।

ওসি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বাংলাবান্ধা ট্রেন রাজশাহীতে এসে পৌঁছায়। আর আগে থেকেই স্ত্রীসহ স্বজনদের রিসিভ করতে স্টেশনে অবস্থান করছিলেন আরএমপির ট্রাফিক কনস্টেবল রিয়াজ।এর পরে স্বজনরা বাংলাবান্ধা ট্রেন থেকে নামলে গেটে টিকিট চেকাররা তাদের ধরে টিসির (টিকিট সংগ্রহকারী) রুমে নিয়ে আসেন।

এর পরে টিসি ট্রাফিক কনস্টেবল রিয়াজের কাছে তাদের টিকিট দেখতে চান। এর পরে পাঁচ যাত্রীরই টিকিট দেখান তিনি। এসময় টিসি তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনাদের টিকিট কই? এমন কথার উত্তরে ট্রাফিক কনস্টেবল রিয়াজ বলেন, আমরা দুজন স্ত্রীসহ পাঁচ যাত্রীকে রিসিভ করতে এসেছি। এর পরে টিসি বলেন, তাহলে আপনারা এখন যান।

এসময় কনস্টেবল রিয়াজ স্ত্রীসহ স্টেশন থেকে বের হতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাঁধা দেয়। এসময় তারা কনস্টেবল রিয়াজকে গালাগালি করে। এসময় কনস্টেবল রিয়াজ আবার টিসির রুমে এসে অভিযোগ করে বলেন, নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে গালাগাল করেন। এসময় টিসি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। আপনা চলে যান।

এসময় কনস্টেবল রিয়াজ বাইরে আসলে  নায়েক কাইয়ুম, সিপাহি শাহিন, মিজান, বেলাল ও অজ্ঞাত ১ জন মিলে তাকে মারধর করে। এসময় তারা ওই পুলিশ সদস্যকে বলে ‘পুলিশ কোন চেটের বাল।’ এর পরে রিয়াজকে ধরে নিরাপত্তা বাহীনির অফিসের দিকে নিয়ে আসছিলো আসামিরা। এসময় কনস্টেবল রিয়াজ চিৎকার দিলে রেলওয়ে থানার পুলিশ নিরাপত্তা বাহীনির সদস্যদের থেকে রিয়াজকে নিয়ে নেয়। এসময় কনস্টেবল রিয়াজ নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন। কনস্টেবল রিয়াজ আহত হওয়ায় তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রাজশাহী পশ্চিম রেলওয়ে থানার (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

স/আ