কনওয়ের ‌‘বেঁচে যাওয়া’ নিয়ে আক্ষেপ গিবসনের

পাঁচ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ১। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউয়ের আবেদন শরিফুল ইসলামের। ডেভন কনওয়ের প্যাডে বল লাগলেও আম্পায়ার আঙুল তুলেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ।

আউট হতেই পারতেন কনওয়ে। একটুর জন্য বেঁচে যান আম্পায়ার্স কলে। যেটি কিনা আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলে আউটই হতো। শূন্য রানে সাজঘরের পথ ধরতে হতো কিউই ব্যাটারকে।

এই কনওয়েই শেষ পর্যন্ত গলার কাঁটা হয়েছেন। টাইগারদের দারুণ বোলিংয়ে পার করা একটি দিনে ৫ উইকেটে ২৫৮ রান তুলেছে কিউইরা, যার মধ্যে ১২২ রানই কনওয়ের।

দিনশেষে বাংলাদেশের তাই একটু আক্ষেপ হওয়ারই কথা। ওই সময় যদি কনওয়ে আউট হতেন, দিনটা তো অন্যরকম হতেই পারতো। টাইগার দলের পেস বোলিং কোচ অটিস গিবসনও সেই আফসোস গোপন করতে পারলেন না।

দলের পেসারদের বোলিংয়ে তৃপ্তি গিবসনের কণ্ঠে, কিন্তু যেমন বোলিং করেছে শিষ্যরা, আরও বেশি উইকেট প্রাপ্য ছিল মনে করছেন তিনি।

গিবসনের ভাষায়, ‘আমার মনে হয় ফাস্ট বোলাররা তাদের অপরিচিত কন্ডিশনে খুব ভালো বোলিং করেছে। দিনের শুরুতে কনওয়ের বিপক্ষে একটি এলবিডব্লিউয়ের আবেদন ছিল, যেটা কিনা নটআউট দেওয়া হয়। আপনারা জানেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছোট ছোট ব্যাপারগুলো অনেক সময় প্রভাব ফেলে।’

তবে কনওয়েকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে কার্পণ্য করছেন না টাইগার পেস বোলিং কোচ। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও বেশি উইকেট পেতে পারতাম। তবে এটাও ঠিক, বিশ্বের সেরা একটি দলের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে আমরা খেলছি। ডেভন কনওয়ে সত্যিই খুব ভালো খেলেছে।’

পেস বোলারদের নিয়ে কাজ ফল দিচ্ছে, মনে করছেন গিবসন। তার উপলব্ধি, ‘আমরা সুইং বল নিয়ে অনেক কাজ করছি। আপনার দেখবেন আজ কোনো না কোনো সময় সবাই সুইং করিয়েছে বল।’

 

সুত্র; জাগো নিউজ