কতদিন পরপর টুথব্রাশ বদলানো উচিত?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য ব্রাশ করা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি। চিকিৎসকরা সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য দিনে দু’বার করার পরামর্শ দেন।

বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে, টুথব্রাশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেটি দাঁতের প্লেক, দাঁত ক্ষয় ও মাড়ির রোগের কারণ হতে পারে। এমনকি কিছু গবেষণা অনুসারে, ইনসুলিন বেড়ে বা কমে যাওয়ার সঙ্গেও টুথব্রাশের সম্পৃক্ততা আছে।

বিশেষজ্ঞরা মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত দুবার দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দেন। তবে একই টুথব্রাশ ঠিক কতদিন ব্যবহার করা যায় আর কতদিন পরপর টুথব্রাশ বদলানো উচিত তা জানা নেই অনেকেরই।

নিয়মিত টুথব্রাশ পরিবর্তন না করলে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে যায়। টুথব্রাশের কার্যকারিতা নিয়ে করা ২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩ মাস ব্যবহারের পরে টুথব্রাশ দাঁতের ফলক অপসারণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি টুথব্রাশ কার্যক্ষমতা হারায়। ফলে দাঁতের বিভিন্ন জায়গাগুলো পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হয় ওই ব্রাশ। একটানা টুথব্রাশ ব্যবহার করার ৪০ দিন পর ব্রিসলস নষ্ট হতে শুরু করে।

ইথিওপিয়ান জার্নাল অব হেলথ সায়েন্সে প্রকাশিত একটি পিয়ার পর্যালোচিত গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত টুথব্রাশ পরিবর্তন করেন না, তাদের দাঁতে প্লেক জমে বেশি।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নারীরা গড়ে প্রতি ৯২ দিনে তাদের টুথব্রাশ পরিবর্তন করেন। অনদিকে পুরুষরা গড়ে ১৮৫ দিনে তা করেন।

মাড়ির রোগের ঝুঁকি কমাবেন কীভাবে?

ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, কিছু সহজ ওরাল হাইজিন টিপস মাড়ির রোগকে দূরে রাখতে পারে বলে কার্যকরভাবে প্রমাণিত। জেনে নিন কী কী-

১. ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ এড়ানো
২. দিনে দু’বার ব্রাশ করা
৩. নিয়মিত ফ্লস করা
৪. নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া
৫. চিনি খাওয়া কমানো

এছাড়া সঠিক খাবার খাওয়া মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়-

১. চর্বিযুক্ত মাছ
২. জাম্বুরা
৩. পাতাযুক্ত সবুজ শাক
৪. কমলালেবু
৫. সাইট্রাস ফল

বিশেষ করে টকজাতীয় সাইট্রাস ফলের অম্লীয় প্রকৃতি মুখের রক্তনালিগুলোকে শক্তিশালী করে। ফলে মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত টকজাতীয় ফল খান ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ