মঙ্গলবার , ১৩ জুন ২০১৭ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

কঠোর নিরাপত্তায় রাজশাহীর আদালতে ৮ জঙ্গি

Paris
জুন ১৩, ২০১৭ ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নে দাঙ্গাপাড়া গ্রামে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে আটককৃত ১২জনের মধ্যে নারীসহ আটজন জঙ্গির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে তানোর থানার পিএসআই জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে  আটককৃত নারীসহ আট জঙ্গিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে চার জন শিশু বাচ্চাদের  মধ্যে ইব্রাহীম ও মর্জিনা দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে তামান্না (৮ বছর), তাসকিরাকে (৪ বছর), তাদের  নানির হেফাজতে রাখা হয়েছে। অপর দিকে অবুঝ দুধের বাচ্চা বলেন  ইব্রাহীম ও মর্জিনা দম্পতির  ছোট মেয়ে তানশিরা (৭ মাস) এবং রবিউল ও হাওয়া দম্পতির তিন মাসের মেয়েকে তাদের মায়েদের সঙ্গে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে দাঙ্গাপাড়া গ্রামে রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিন জঙ্গিকে আটক করে। এছাড়াও বাড়ির আরো ৯ সদস্যকে পুলিশ হেফাজতে নেয়াসহ মোট ১২ জনকে আটক করা হয়। সকাল থেকে ওই বাড়ির এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

পরে বাড়ি থেকে মোট ১২ জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলো। এর মধ্যে আগে আটক তিন ছাড়া অন্যরা হলেন- ওই বাড়ির মালিক গৌরাঙ্গপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমজান আলী (৫৪), তার স্ত্রী আয়েশা বিবি (৫০), বড় ছেলে ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (২৮), তার তিন মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তামান্না খাতুন (০৮), তাসকিরা খাতুন (০৪) ছয় মাসের শিশু তানসিরা, ছোট ছেলে ইস্রাফিল আলমের স্ত্রী হারেছা খাতুন (২১), রমজান আলীর মেয় হাওয়া খাতুন (২০) ও তার তিন মাসের শিশু। এর আগে আটক তিন জন হলেন রমজান আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (৩৫) ও ইস্রাফিল আলম (২৬) ও জামাতা রবিউল ইসলাম (২৫)। তারা নব্য জেএমপির সদস্য।

রোববার গভীর রাতে অভিযানের সময় ওই বাড়ি থেকে দুইটি সুইসাইডাল ভেস্ট, পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ একটি ৭.৬২ মডেলের বিদেশি পিস্তল ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।  পরে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে বিস্ফোরক উদ্ধার ও নিস্ক্রিয় করার পর এই অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী জানান, রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও রাজশাহী জেলা পুলিশ ইব্রাহিমের বাড়িটি ঘিরে ফেলে। বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর