কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ যুবক নিহত, পুলিশের দাবি মাদক ব্যবসায়ী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজার শহর ও টেকনাফ উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হয়েছেন।

পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থাকায় একাধিক মামলা রয়েছে।

শনিবার ভোরে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কাটাপাহাড় ও শুক্রবার রাত ১টার দিকে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুদু মিয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে। নিহত অন্য যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজারের সদর থানার ওসি খন্দকার ফরিদ উদ্দিন জানান, শনিবার ভোরে স্থানীয়দের কাছে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

মাদক ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির পাশ থেকে সাড়ে ৩০০ ইয়াবা, একটি বন্দুক, দুটি গুলি ও তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।

এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুদু মিয়া নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, শুক্রবার রাত ১টার দিকে মেরিন ড্রাইভ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের নিহত দুদু মিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক,অস্ত্রসহ ছয়টিরও বেশি মামলা রয়েছে।

তাছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিআইজি, এসবি ঢাকা, এসপি ও পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় ছিল দুদু মিয়ার নাম।

তিনি আরও জানান, আটক দুদু মিয়াকে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বন্দুকযুদ্ধে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- এএসআই সঞ্জিব দত্ত, এএসআই নেজাম উদ্দিন ও কনস্টেবল ইব্রাহিম।

ঘটনাস্থল থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩ রাউন্ড কার্টুজ ও ৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।