কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত দুজন আসামিসহ মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়।
গতকাল শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান। তাদের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা আশিক এখনো অধরা বলে জানান তিনি।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ২৫ বছর বয়সী ওই নারী। তার স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ‘কয়েক দফা ধর্ষণ করে’ তিনজন। প্রথমে গলফ মাঠের পেছনে চায়ের দোকানের পেছনের একটি ঝুপড়িতে, এরপর কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী নারী।
এর আগে কক্সবাজারের জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে পাঠায়। এখন সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
পরদিন ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরো তিনজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিনকে।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আশিকুল ইসলাম আশিক, একই এলাকার মো. শফিউদ্দিন শফির ছেলে ইসরাফিল হুদা জয় ও আবুল কাশেমের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু এবং কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর জসিমউদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ