১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে শুরু হতে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ; তার মাত্র এক মাস আগে দল পাল্টে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপির আসাম রাজ্য শাখার শীর্ষ মুসলিম নেতা আমিনুল হক লস্কর।
বুধবার তিনি রাজধানী গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দলটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। এ সময় আসাম রাজ্য কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট জিতেন্দ্র সিং আলওয়ারসহ রাজ্য অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপির জনপ্রতিনিধি হিসেবে ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জয়ী হন আমিনুল। জয়ের পর তাকে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নিয়োগ পান তিনি; সেই সঙ্গে আসাম রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানও করা হয় তাকে ।
তবে আসামের মুসলিম সমাজে ‘হেভিওয়েট নেতা’ হিসেবে পরিচিত আমিনুল হক লস্কর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি। আসামভিত্তিক রাজনৈতিক দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) প্রার্থী করিম উদ্দিন বারভুইঞার কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই বিজেপিতে তার গুরুত্ব হ্রাস পেতে থাকে বলে অভিযোগ আমিনুলের।
বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগদান শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমিনুল বলেন, ’আজ থেকে ১৩ বছর আগে যখন আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম, তখন রাজ্যের মুসলিম সমাজে বিজেপির কোনো গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। আসামের মুসলমান সমাজে যারা তিল তিল করে বিজেপির ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছে, তাদের মধ্যে অগ্রসারিতে ছিলাম আমি।’
‘কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। আসাম রাজ্য বিজেপি তার রাজনৈতিক মতাদর্শ হারিয়ে ফেলেছে। ভোটের রাজনীতিতে সুবিধার জন্য তারা এখন এআইইউডিএফের সঙ্গে আঁতাত করছে।’
‘কিন্তু আমি পরিষ্কার ভাবে বলছি, এই আঁতাতে কোনো লাভ হবে না; বরং রাজ্যের মুসলিমদের কাছে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা যে হারে হ্রাস পাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, আসামের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একসময় কংগ্রেস নেতা ছিলেন। ২২ বছর কংগ্রেসে কাটিয়ে ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দেন হিমন্ত।