ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে করতে বের হচ্ছিলেন অভিষেক, হঠাৎ হাত কেটে হাজির ‘প্রথম স্ত্রী’ জাহ্নবি কাপুর, অতঃপর…

কখনও রানি মুখোপাধ্যায়, কখনও কারিশ্মা কাপুরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অভিষেক বচ্চনের। কারিশ্মার সঙ্গে তো বিয়ের কথাবার্তাও অনেক এগিয়ে গিয়েছিল তার। কিন্তু কারিশ্মা বা রানি কেউই অভিষেকের বিয়ের দিন এ নিয়ে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে দড়ি টানাটানি করতে যাননি।

বরং এমন এক অভিনেত্রী ওই দিন হাজির হয়েছিলেন এবং নিজেকে অভিষেকের প্রথম স্ত্রী হিসেবে দাবি করতে শুরু করেছিলেন যার কথা কেউ কল্পনাতেও আনতে পারেননি।

প্রতীক্ষার বাইরে দাঁড়িয়ে ওই দিন নাকি তিনি মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন যাতে অভিষেকের বিয়ে না হয়! বিয়ে আটকাতে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিলেন!

ওই অভিনেত্রীর নাম জাহ্নবি কাপুর। শ্রীদেবীর বড় মেয়ে জাহ্নবির কল্যাণে এই নাম বলিউডে খুব পরিচিত হলেও এই জাহ্নবি কিন্তু আলাদা। ইন্ডাস্ট্রিতে এই অভিনেত্রী কিন্তু সেভাবে পরিচিত নন।

কয়েকটি মাত্র ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছে। তাও পার্শ্বচরিত্রে। অভিষেকের সঙ্গেও একটি ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছিল।

২০০৫ সালের অ্যাকশন-থ্রিলার ছবি ‘দাস’-এ অভিষেকের একটি নাচের দৃশ্যে পিছনের সারিতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

এর দুই বছর পর অভিষেক এবং ঐশ্বয়িার বিয়ে হয়। বিগ বি-র একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা। ওই দিন ‘প্রতীক্ষা’ সেজে উঠেছিল নতুন বউয়ের মতোই।

রাতে যখন বরযাত্রী বের হওয়ার কথা এবং অভিষেক ঘোড়ায় চেপে বসার তোড়জোড় করছিলেন, ঠিক সে সময়ই বরযাত্রীর ভিড়ের মাঝে হাজির হয়ে যান জাহ্নবি।

নিজের হাতের শিরা কেটে ফেলেন। রক্তাক্ত অবস্থাতেই অভিষেককে নিজের স্বামী হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন।

তার এমন কাণ্ডে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে কানাঘুষো শুরু হয়। তিনি দাবি করতে থাকেন, ‘দাস’ ছবির সেটেই তার এবং অভিষেকের মধ্যে বন্ধুত্ব শুরু হয়।

অভিষেক এবং তার মধ্যে ব্যক্তিগত নম্বরও আদানপ্রদান হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তারপর থেকেই নাকি দু’জনে ফোনে এবং ইমেল-এ কথা বলতে শুরু করেন।

তিনি এও দাবি করেছিলেন, তাদের মধ্যে এতটাই ঘনিষ্ঠতা হয়ে গিয়েছিল যে অভিষেক নাকি তাকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়েও করেছিলেন।

প্রতীক্ষার বাইরে যখন এ নিয়ে তুলকালাম, তখন বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিল বচ্চন পরিবার। অভিষেক বা অমিতাভ এ নিয়ে একটা কথাও বলেননি। তার দাবির বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি তারা।

তবে পুলিশ ওই নারীকে প্রতীক্ষার বাইরে থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। ওই রাতেই পুলিশ তাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে থানায় নিয়ে যান। ওই নারীর কাছ থেকে তাদের বিয়ের প্রমাণ চান। অভিনেত্রী অবশ্য কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।

বিষয়টি কানে গিয়েছিল ঐশ্বয়িারও। বুদ্ধিমতী ঐশ্বরিয়াও কোনও মন্তব্য করেননি সংবাদমাধ্যমের সামনে। সমস্ত নিয়ম মেনে ওই দিনই বিয়ে হয় অভিষেক এবং ঐশ্বয়িার।

পরে অবশ্য এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অমিতাভ এবং অভিষেক বিষয়টিকে পুরোপুরি মনগড়া বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। নেহাত পরিচিতি পাওয়ার জন্যই এ কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেন তারা।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন