এ মাসেই আসছে নূরের রাজনৈতিক দল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং দফায় দফায় হামলার শিকার হয়ে তিনি আসেন আলোচনায়। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে গঠন করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদসহ প্রায় পাঁচটি অঙ্গসংগঠন। এবার জানালেন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কথা।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন নুরুল হক নূর।

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনার ব্যাপারে নুরুল হক নূর বলেন, গত মার্চ মাসে আমাদের রাজনৈতিক দল ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু মোদিবিরোধী আন্দোলন এবং আমাদের বেশকিছু সহযোদ্ধাকে গ্রেফতারের কারণে আমরা একটি চরম প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এখন রাজনৈতিক দল গঠনের আগে অন্যান্য যে কাজ আছে সেগুলো গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যেই ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুবকদের নিয়ে যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিকদের নিয়ে শ্রমিক অধিকার পরিষদ, প্রবাসীদের নিয়ে প্রবাসী অধিকার পরিষদ, সর্বশেষ আমরা পেশাজীবীদের নিয়ে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ গঠন করেছি। আরেকটা অঙ্গ-সংগঠন ‘নারী অধিকার পরিষদ’ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

ডাকসু’র সাবেক ভিপি বলেন, গণঅধিকার পার্টি, গ্রিন পার্টি, ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ বিভিন্ন নাম আলোচনায় আছে। তবে আমাদের অন্যান্য সংগঠনে অধিকার শব্দটি আছে তাই চাচ্ছি এই শব্দটাকে প্রাধান্য দেওয়ার। ইতোমধ্যেই ‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’ নামে একটি স্লোগান তৈরি করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের গণ্ডির বাইরেও দেশের যে সব মানুষ আইনের শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এসব বিষয়ে কাজ করছেন। এদেরকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। তাই বলা চলে আমাদের রাজনৈতিক দল গঠনের যে সব কাজ আছে সেগুলো শেষ পর্যায়ে। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে এ মাসের শেষেই আমরা সেটি ঘোষণা করতে চাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উত্থানটাই বলতে গেলে একটা চমক এর মধ্য দিয়ে। কারণ সাধারণ ছাত্রদের কোটা সংস্কারের যে দাবি ছিল সেই দাবিকে কেন্দ্র করে আমাদের উত্থান। আর এ দাবি আদায়ে নানা নির্যাতন, নিপীড়ন, বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েও দাবি আদায়ের আন্দোলকে সফল করতে হয়েছে। এরপর ডাকসু নির্বাচন এবং গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের মাঝে আমাদের একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক মাঠে যারা আমাদের সঙ্গে আছেন, তাদেরকেও গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে। সে ক্ষেত্রে বলা চলে একটা চমকই অপেক্ষমাণ। দেশের রাজনীতিতে রাজনীতিকে অনেকে বামপন্থি ও ডানপন্থি ধারায় বিভক্ত করে। আমাদের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে কোন পন্থি না হয় গণমানুষের জন্য, গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য রাজনীতি করা।

 

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন