সিল্কসিটিনিউজ সাহিত্য ডেস্ক:
একাদশীর চান
আমিও তো
পা ভিজিয়েছিলাম
বড়াল নদীর জলে,
লাল পদ্ম তুলেছিলাম
চিনিডাঙ্গার বিলে;
শুধু তাঁকে দেব বলে!
মনে বড় আশা ছিল
তাঁর সাথে হয় যদি দেখা,
কোন না কোন ছলে!
মরা মনে প্লাবন বইবে
চৈত্রের খরা ফেলে!
পদ্মার পাড়ে বালির বাঁধে
আশার গুড়ে বালি!
শাহ মখদুমের সবুজ মাঠে
ইদুরে কপালই খালি!
আগদীঘার দীঘির তলে
জল মেপেছি বিফল;
বাঘার চরে উৎসব পার্কে
সময় ছিল খল!
শহরতলী ফুলবাগানে
ফুল কুড়ানোর নিষ্ফল!
বঙ্গোজ্জ্বলের অতল জলে
পাইনি খুঁজে তল!
বিল শাহের বাঁকে বাঁকে
ভাসিয়েছিলাম তরী!
জলের তলও ছল করেছে
পাইনি খুঁজে কড়ি!
সাইনপুকুরের শেষ বিকালটা
ছিলো অরণ্যের রোদন!
শূণ্যের মাঝে উড়ছি তবুও
হয়নি আমার বোধন!
মালঞ্চীতে ফুল শুকালো
দয়ারামপুর নিঃষ্ঠুর নির্দয়!
আবদুলপুর রেল জাংশনে
প্রতীক্ষার হলো না জয়!
খুঁজে খুঁজে নাকাল হলাম
বিশাল চলন বিলে!
হাজার জনের মাঝে
তাঁকে পাইনি পাটুলে!
অবশেষে মনের ঘরে
পেলাম একাদশীর চান;
চিরদিন একই রূপে,
অব্যয় অক্ষয় অম্লান!
ছায়ামানবী
কালের খেয়ার ছেঁড়া পালে
বিবর্ণ অতীতের হাওয়া বয়!
ফাগুন হারায় শ্রাবণ ধারায়,
শুধু জলছবি কথা কয়!
শান্ত সকাল অশান্ত হয়
বিষাদ ঠেকে আকাশ!
মনের বীণায় ছন্দ হারায়
প্রকৃতি স্থবির উদাস!
কর্মমুখর দুপুর গড়ায়
নিরস অবহেলায়!
ঘুম জড়ানো চোখের পাতা
সুদুর পানে হারায়!
প্রাণবন্ত বিকাল নিষ্প্রাণ
অলস কাপের ধোঁয়ায়!
শেষ আলোর রশ্মি হারায়
বেদনা বিধূর মায়ায় !
আধাঁর তুলির এক আচড়ে
আসে রাতের দুঃসময়!
ক্লান্ত কায়ায় নির্ঘুম আখিঁ
দূরে তারারপানে হারায়!
স্বপ্নে আসে স্বপ্নে হাঁসে
বিমূর্ত হয় ঘন-ছায়ায়!
নিত্য ছবি ছায়ামানবী,
নিষুতি রাতের মায়ায়!