এ কেমন শিক্ষক?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বান্দরবানের থানচিতে এক শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার বিকালে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে থানছি থানায় ওই শিক্ষক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক সাইন থোয়াই মারমা উপজেলার ক্রংক্ষ্যং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

থানছি থানার ওসি আব্দুস সাত্তার জানান, থানছির বড় মদক ভেতর পাড়ার বাসিন্দা জুম চাষির মেয়ে ক্রংক্ষ্যং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।

সে ওই পাড়ার বৌদ্ধবিহারের হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করে। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই ছাত্রী ক্রংক্ষ্যং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইন থোয়াই মারমার কাছে প্রাইভেট পড়ত। এ সুযোগে ওই শিক্ষক গেল এপ্রিল মাসে চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে দুইবার ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের ফলে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়।

নির্যাতিতার পিতা গত বুধবার বড় মদক থেকে থানছি এসে বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমার কাছে বিচার দিলে তিনি বিষয়টি মীমাংসার জন্য সময় নেন।

তবে শনিবার পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় রোববার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে স্কুল শিক্ষককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমাকেও আসামি করা হয়েছে।

নির্যাতিতার বাবা জানান, অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাগ্নে হওয়ায় বিচার দেয়ার পরও তিনি বিচার না করে উল্টো প্রভাব বিস্তার করায় তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা জানান, বিষয়টি নিয়ে সোমবার প্রথাগত সামাজিক বিচারের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে থানায় মামলার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। যুগান্তর