এসএসসি পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

এবার মোট প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৯৮। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

মন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের তুলনায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন, ছাত্র বেড়েছে ১১ হাজার ৬৮৬ জন। ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩৭ হাজার ৩২০ জন।

তিনি জানান, ২০২৩ সালে সাধারণ ৯ শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন, ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬, কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪টি।

মাদরাসা বোর্ডের দাখিল স্তরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮জন। এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং দাখিল (ভোকেশনাল) মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭জন। এর মধ্যে ছাত্র ৯৭ হাজার ৩৩৪ জন এবং ছাত্রী ৩০ হাজার ৪৩৩ জন।

চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের বাইরে ৮টি কেন্দ্র রয়েছে। তাতে মোট ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এরমধ্যে জেদ্দায় ৮৯ জন, রিয়াদে ৫১ জন, ত্রিপলিতে ৪ জন, দোহায় ৭৭ জন, আবুধাবিতে ৪১ জন, দুবাই ২৭ জন, বাহরাইনে ৬৫ জন, ওমানে ২০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা (পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন টিম, বোর্ডের পরিদর্শন টিম, জেলা ও উপজেলা পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ব্যতীত অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। শ্রুতি লেখক পাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, প্রতিবারের মতো এবারো বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন পরীক্ষার্থী শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা সাধারণ পরীক্ষার্থীদের চেয়ে ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবে।

প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক/ অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে। ২০২৩ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষায় নেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে  এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ মে শুরু করে ৩০ মের মধ্যে শেষ করতে হবে।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৫ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে শুরু করে ৩ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২০ মে থেকে ৪ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে।